সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন আইনজীবী মহসিন ও বাদল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের সম্পত্তি: হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

‘অবমাননাকর’ বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে দুজনই লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন করেন। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৮ মার্চ তারিখ রেখেছে আদালত।


বিজ্ঞাপন


একইসঙ্গে এই দুই আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মহসিন রশিদ

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তাদের মামলা পরিচালনা না করতে দেওয়ার আদেশ প্রত্যাহার করেছেন আদালত। ১৮ মার্চ আদেশের জন্য আদালত তারিখ রেখেছেন। সেদিন তাদের উপস্থিত হতে হবে।

আদালতে দুই আইজনীবী পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এই দুই আইনজীবীর পক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার জন্য সময় আবেদন করা হয়। আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন। পাশাপাশি আগে দেওয়া মামলা পরিচালনা না করতে তাদের ওপর আগে দেওয়া আদেশ ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন


গত ২৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করে ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ওই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদল গত ১ জানুয়ারি আদালত বর্জন কর্মসূচি নিয়ে প্রধান বিচারপতির দফতরে এডহক কমিটির পক্ষে চিঠি দেয়। পরদিন এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দফতরে উপস্থাপন করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেওয়া উচিত হবে না।

এ চিঠি নিয়ে দেওয়া আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, চিঠিতে কিছু অবমাননাকর বিবৃতি (শব্দ ও বাক্য চয়ন) রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, অবস্থান এবং মর্যাদার প্রতি অবমাননাকর বলে মনে হয়েছে।

পরে গত ৩ জানুয়ারি এই দুই আইনজীবীকে হাজির হতে বলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ওই আদেশ অনুযায়ী এই দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন।

১১ জানুয়ারি তাদের পক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এই সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

এআইএম/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর