গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত এমনটা জানায়। কিছুক্ষণের মধ্যে বিচারক বহুল আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন।
বিজ্ঞাপন
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি।
রায় ঘোষণার আগে বেলা পৌনে দুইটার দিকে ড. ইউনূসসহ চার আসামি রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকার অস্থায়ী আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। ড. ইউনূসের সঙ্গে তার আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর তাদের উপস্থিতিতে বিচারক মামলাটির রায় ঘোষণা করছেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। যেখানে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
বিজ্ঞাপন
গত ২৪ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলাটিতে ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। একইসঙ্গে এই মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। সেদিন রাত ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও মো. হায়দার আলী। সেদিন টানা ৮ ঘণ্টা পক্ষে-বিপক্ষে শুনানি হয়। শুনানিতে আদালতে ড. ইউনূসসহ আসামিদের খালাসের আর্জি জানিয়েছেন তার আইনজীবী। অন্যদিকে ড. ইউনূসসহ আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আর্জি জানান কলকারখানা অধিদফতরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এমআর