বাংলাদেশের বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গৃহীত রেজুলেশনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সরকার সমর্থিত ২৮৮ জন আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি রেজুলেশন, অধিকার নামে বাংলাদেশের একটি এনজিওর দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা রেজুলেশনটি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ এটি একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের বিচারিক কার্যক্রমের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত।
আরও পড়ুন
এতে আরও বলা হয়, আদিলুর রহমান খান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন বিজ্ঞ আইনজীবী ও আমাদের সহকর্মী। আমরা জানতে পেরেছি মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য অধিকার কর্মকর্তা হিসাবে আদিলুর রহমান খান ও তার সহকর্মী এ এস এম নাসির উদ্দিনের (এলান) বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটির বিচার সম্পন্ন হয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ঢাকায়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত গত ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখে আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিনকে দণ্ডাদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। মামলার রায়ের গুনাগুণ বিচার-বিবেচনা না করে, রায় ঘোষণার তারিখেই ইইউ পার্লামেন্টের গৃহীত রেজুলেশন কতটুকু সঠিক হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে আইনজীবীরা বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আরও লক্ষ্য করেছি যে, রায় ঘোষণার দিন কয়েকটি দেশের কূটনীতিক বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের নামে দুজন অধিকার কর্মকর্তার পক্ষ অবলম্বন করেছেন। এভাবে বিচার কার্যক্রমে কূটনীতিকদের উপস্থিতি অতি সক্রিয়তা- যা জেনেভা কনভেনশনের কার্যপরিধির আওতা বহির্ভূত। আমাদের প্রত্যাশা ইইউ পার্লামেন্ট বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তাদের গৃহীত রেজুলেশনটি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় অযাচিত হস্তক্ষেপ করা থেকে নিজেদের নিবৃত রাখবেন।
এআইএম/আইএইচ

