সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নিজেদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা, হামলা ও মামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন। এ মামলাটি ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া বাদী হয়ে দায়ের করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ও ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান ঢাকা মেইলকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরে আইনজীবী ফারুকী বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পদযাত্রায় বাধা, হামলা ও মামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে আবেদন নিয়ে গিয়েছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আমরা সিনিয়র আইনজীবী নেতৃবৃন্দের পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপিপন্থী ৬৬ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। তাদের পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করা হয়।
পুলিশের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট নামে ব্যানার এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে উল্লিখিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের সমর্থিত আরও অনেক আইনজীবী তাদের নির্ধারিত কর্মসূচি পদযাত্রা সফল করার লক্ষ্যে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবন থেকে জনসন রোডের ওপর চলে আসেন। তখন কোতোয়ালি থানার পুলিশ মিছিলকারী আইনজীবীদের রাস্তা অবরোধ না করার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনজীবীরা পুলিশের কোনো অনুরোধের তোয়াক্কা না করে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেন, রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন, ত্রাস সৃষ্টি করেন। এ ঘটনায় মিছিলকারী আইনজীবীদের নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেল ও প্ল্যাকার্ডের লাঠির আঘাতে পুলিশের অনেকে আহত হন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইন সম্পাদক কায়সার কামালসহ ১৩ আইনজীবীকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. জাকির হোসেন এবং মো. শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাদের নির্ধারিত সময় পর ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগাম জামিন পাওয়া অন্য আইনজীবীরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মোহাম্মদ আলী, মাহবুবুর রহমান খান, দেওয়ান হুমায়ূন কবির রিপন, আল ফয়সাল সিদ্দিকী, মো. কাইয়ুম, মো. শাহাদাত হোসেন আদিল, রাসেল আহমেদ, মহিদুল ইসলাম শিপন, আশরাফ জালাল খান মনন।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে পদযাত্রা বের করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এর নেতৃত্ব দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এআইএম/এএস

