দাম্পত্য কলহের জেরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী চন্দনা হত্যা মামলায় তার স্বামীকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে শুনানি করে বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল চন্দনার সঙ্গে সাজুর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় ওই বছরের ২ আগস্ট সাজুকে তালাক দেন চন্দনা। কিন্তু পারিবারিকভাবে মীমাংসা হলে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর চন্দনা ও সাজুকে আবারও বিয়ে দেওয়া হয়।
২০১২ সালে চন্দনা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে অনার্স তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন। তিনি কলেজের ছাত্রীনিবাসে থাকতেন। সাজু পরিকল্পনা মোতাবেক ঢাকায় আসেন এবং ২০১২ সালের ১ মে আদাবর থানাধীন শেখেরটেক রোডে একটি বাসা সাবলেট নেন। পরে ১৪ মে রাত সাড়ে দশটার দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে আসামি সাজু ঘরে থাকা কাঁচি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে চন্দনাকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর গ্রেফতার হন সাজু।
মামলাটিতে ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাজুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন ঢাকার বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী। বিধান অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। অন্যদিনে আসামি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে তারা যাবজ্জীবন সাজা দেন।
বিজ্ঞাপন
এআইএম/এমআর

