মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

জামিনে থাকা শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল হাওলাদারকে গ্রেফতারের ঘটনায় পটুয়াখালীর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।

রোববার (১৩ আগস্ট) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
আজ আদালতে আশরাফুল হাওলাদারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলী আহসান মোল্লা। অপরদিকে দুই পুলিশ সদস্যের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবু রেজা মো. কাইয়ুম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।


বিজ্ঞাপন


জমিজমা নিয়ে মারামারির মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেওয়া মো. আশফুল হাওলাদারকে গ্রেফতারের ঘটনা নজরে আনলে চলতি বছরের ২০ মে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমানকে তলব করা হয়।

জামিনে থাকার পরও উদ্দেশ্যমূলক গ্রেফতার করে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে রুল জারি করেন আদালত।

আদালত লিখিত আদেশে বলেন, মো. আশরাফুল হাওলাদারকে গ্রেফতারে পুলিশ সদস্যের আচরণ বা প্রক্রিয়া আইনের পরিপন্থী। একইসঙ্গে তা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনারও পরিপন্থী। এটা মীমাংসিত বিষয় যে, সংশ্লিষ্ট আইন অনুসরণ না করে নাগরিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।

আদালত বলেন, কোনো অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আগে প্রথমে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আইনি দিক নিয়ে ভাবতে হয়। এই আসামি ফৌজদারি বিভিন্ন মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে রয়েছেন। আইনজীবী আসামিকে উচ্চ আদালতের জামিনের প্রত্যয়নও করেছেন। উল্লেখিত মামলায় মনে হচ্ছে এএসআই মিজানুর রহমান সর্বোচ্চ আদালতের নীতিমালা ও আইনের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করেছেন। ফলে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমরা মনে করি পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও এ এস আই মিজানুর রহমান এ বিষয়ে কারণ ব্যাখ্যা করবেন।


বিজ্ঞাপন


এ আদেশের পর গত ১৮ জুন আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমান। কিন্তু আদালত আবেদন গ্রহণ না করে ২৩ জুলাই ফের আসতে বলা হয়। গত ২৩ জুলাই দুই পুলিশ সদস্যের পক্ষে ফের নিঃশর্ত ক্ষমা চান তাদের আইনজীবী আবু রেজা মো. কাইয়ুম খান।

এআইএম/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর