মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বিচারপতিকে ফোন: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সেই পুলিশ কর্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৪:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বিচারপতিকে ফোন: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সেই পুলিশ কর্তা

মাত্র ৪৩ ঘণ্টায় হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়ে তোপের মুখে পড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)—এর এক এসপি সরাসরি ফোন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতিকে, যে বিচারপতির আদালতে মামলাটি বিচারাধীন ছিল। এ ঘটনায় হাইকোর্টে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সেই পুলিশ কর্তা।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মানিকগঞ্জের একটি হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে ক্ষমা চান তিনি।


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, ৪৩ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জের একটি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করেন এক পুলিশ কর্তা। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী। এই ঘটনায় গত ৩ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। যার প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল ৫ জুন।

এ বিষয়ে কথা বলতে সেই পুলিশ কর্তা সরাসরি ফোন দেন হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতিকে, যার আদালতে সেই মামলা বিচারাধীন ছিল। আর এতেই চটে যায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট। বলেন এটি অসদাচরণ।

বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বসার সঙ্গে সঙ্গেই সময় চান তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা। সেখানেই এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। জানান, মামলা নিয়ে এক পুলিশ সুপার তাকে ফোন দিয়েছিলেন একাধিকবার। নাম প্রকাশ না করলেও একে অসদাচরণ হিসেবে উল্লেখ করেন বিচারপতি।

এসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, এটা ঠিক হয়নি। তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে কর্মকর্তারা রয়েছেন। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর আদালত চার্জশিট দাখিলের জন্য পিবিআইকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দেন।


বিজ্ঞাপন


এ মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের একটি হ্যাচারিতে মো. রুবেল (২২) খুন হন। এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সোহেল নামে একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

আরও জানা যায়, রুবেল হত্যার ঘটনায় রাত দেড়টায় মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্টে তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর মামলা রেকর্ড থেকে শুরু করে সাক্ষ্য গ্রহণসহ একে একে অন্তত ৯টি ধাপ পার করে মাত্র ২২ ঘণ্টায় তদন্ত কার্যক্রম শেষ এবং পরবর্তী ২০ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণসহ তদন্তের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এআইএম/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর