ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রগুলোর (ইউআইএসসি) সেবার মান উন্নয়ন ও কেন্দ্রগুলো সূচারুরূপে পরিচালনা সংক্রান্ত পরিপত্রের বিধি ২.৩ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৯ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাকটেলি যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি সচিব, এটুআই প্রজেক্টের ডিরেক্টর, বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকসহ ৫২ জনকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে মো. এমদাদুল হক, শেখ আবদুল্লাহ আল আমীন, মো. আব্দুস সবুর, মো. নোমান মিয়া, সোলায়মান হোসেনসহ ৩১৮ জন ইউনিয়ন ডিজিটাল উদ্যোক্তা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রগুলোর (ইউআইএসসি) সেবার মান উন্নয়ন ও কেন্দ্রগুলো সূচারুরূপে পরিচালনা সংক্রান্ত পরিপত্রের ২.৩ বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মো. সামিউল ইসলাম জুয়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এটুআই (একসেস টু ইন ফরমেশনের) প্রজেক্টের আন্ডারে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা কাজ করে আসছিলেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের আইসিটি থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হয়। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার মূলত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসের পাশে ছোট একটা কক্ষে অফিস হিসেবে ব্যবহার হতো। তাদের উদ্দেশ্য তারা সরকারের ডিজিটাল প্রোগ্রামটাকে বাস্তবায়ন করবে। তাদের কাছ ছিল মাঠ পর্চা বের করা, ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা আরও অন্যান্য। পরবর্তীতে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিছু কিছু ব্যক্তিকে সরাসরি ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
২০১৩ সালে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রগুলোর (ইউআইএসসি) সেবার মান উন্নয়ন ও কেন্দ্রগুলো সূচারুরূপে পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা করা হয়।
এই নীতিমালার ২.৩ এ বলা আছে, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন, পরিচালনার বিষয়ে উদ্যোক্তার সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করবে। এই বিধির ফলে চেয়ারম্যানের সাথে যারা ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসার বা উদ্যোক্তা তাদের চুক্তি করতে বাধ্য করা হতো। এর মধ্যে কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসার নিয়োগ দিচ্ছে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতার কারণে ইউনিয়ন ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের চেয়ারম্যান বিভিন্নভাবে হ্যারেজমেন্ট করছে। এ কারণে চেয়ারম্যানের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের চুক্তি করতে হয় এই অংশটুকু চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিট দায়ের করি। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
এআইএম/এইউ

