এখন চাকরি যেনো সোনার হরিণ! ভালো বেতনের চাকরি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের ডিগ্রি ও দক্ষতা। এর মধ্যে প্রযুক্তিগত দক্ষতার সবার আগে প্রয়োজন। দেশে অথবা দেশের বাইরে প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা মানুষের কদর দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান কর্মী সংখ্যা কমিয়ে প্রযুক্তির সাহায্যে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে ইচ্ছুক।
আধুনিকতার এই যুগে মানুষ যেসব পেশায় সবচেয়ে বেশি নিযুক্ত হচ্ছে তারমধ্যে প্রযুক্তি অন্যতম। এই পেশাতে যেমন মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে ঠিক তেমন ভাবেই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। আপনিও যদি আইটি সেক্টরে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান কিংবা পড়াশোনা শেষে সফলতার সাথে ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবেন তবে এই লেখাটি আপনার জন্য-
বিজ্ঞাপন
১. অর্থপূর্ণ বাস্তবভিত্তিক কাজ করুন
আপনি যে কোম্পানির জন্য কাজ করেন তাদের উদ্দেশ্যে এমন কিছু করতে হবে যা আপনি বিশ্বাস করেন। ধরুন কোনো একটা কোম্পানি খাবার উৎপাদন করে। তাহলে তাদের কাছে এমন কিছু প্রযুক্তিগত কৌশল উপস্থাপন করতে হবে যা গ্রাহকদের খাবার পেতে সাহায্য করবে। প্রযুক্তিগত দিকে ক্যারিয়ার গড়তে হলে প্রতিনিয়ত এমন চিন্তা করতে হবে যা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তৈরি করে এবং এটি দ্বারা গ্রাহকরা উপকৃত হন।
২. সমস্যাগুলো চিহ্নিত করুন
অনেকসময় দেখা যায় গ্রাহকদের সমস্যাগুলো সুস্পষ্ট না। যে কারণে কাজ করছেন সেই সমস্যাগুলো যদি আপনি না জানেন তাহলে তা সমাধান করা একটা অন্ধকার রাস্তায় পথ চলার মতনই কঠিন কাজ হবে। সেজন্য সমসাময়িক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এর সমাধানের জন্য আপনাকে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। আইটি সেক্টরে কাজ করার জন্য ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা দক্ষতার পরিচয় দেয়।
বিজ্ঞাপন
৩. বিশ্বকে উন্নত করতে দক্ষতাকে স্বেচ্ছায় বিনিয়োগ করুন
দৈনন্দিন কাজের তালিকা করে অথবা শুধু চাকরির নির্দিষ্ট কাজটুকু শেষ করার পর আরামে দিন কাটানোর মানসিকতা থাকলে আইটি সেক্টরের কাজ আপনার জন্য নয়। এই ক্ষেত্রে কাজ করতে হলে নির্দিষ্ট কাজের বাইরেও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিজের দক্ষতা দ্বারা যোগাযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মানুষের কাছাকাছি গিয়ে তাদের সমস্যাগুলো জেনে সেগুলো নিজের কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারলে আইটি সেক্টরে সফল ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব হবে।
৪. কোচ হোন
আপনি যে কাজগুলো করে সফলতা পেয়েছেন সেই কাজ গুলো অন্যদের করতে উৎসাহিত করুন। অনেকেই জানেন না জীবনে কীভাবে কাজ করলে সফল হওয়া যাবে। তাই আপনি যদি আপনার সফলতার দ্বারা অন্যদের পথ দেখান তাহলে এই সেক্টরে যে আপনি একজন দক্ষ মানুষ তা সবাই বিশ্বাস করবে।
৫. প্রযুক্তি বিষয়ে একজন দক্ষ মানুষ হয়ে ওঠা
আইটি সেক্টরে কাজের পরিধি ব্যাপক কিন্তু আপনাকে এই সেক্টরের যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। নিজের জন্য এমন একটা বিষয় বেছে নিতে হবে যেটা দ্বারা নিজে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যদের ও অনুপ্রেরণা দেওয়া যায়। একইসঙ্গে এই কাজে আনন্দ থাকে। নিজের কাজ সম্পর্কে অন্যদের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং এটি সম্পর্কে সকলকে অবগত করাটাও প্রয়োজন।
৬. ব্যর্থতার কারণ চিহ্নিত করুন
কোনো কিছুই নিখুঁত ভাবে বা পরিকল্পনা মাফিক হয় না। একটি কাজে সফলতার সঙ্গে সঙ্গে ব্যর্থও হতে পারেন। এখান থেকেই আসল সংগ্রামের শুরু। কারণ কোনো একটা কাজের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল কেনও আসলো না তা জানতে পারার মাধ্যমেই পরবর্তী সফলতা নির্ভর করছে। তাই প্রতিটি কাজের পর তা নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে এটি আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে।
৭. নেতৃত্বের গুণাবলী থাকতে হবে
যখন আপনি অন্যদের সাহায্য করবেন তখন এটি আপনার সফলতার জন্যও কাজ করবে। একটি দক্ষ ও সফল দলের নেতৃত্ব দেওয়া নিজের একক সফলতার থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি সফল দল থেকে পরবর্তীতে এক একজন দক্ষ নেতা তৈরি হওয়া এই সেক্টরের জন্য একটি বড় সফলতা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
৮. লক্ষ্য স্থির করুন
বর্তমানে প্রযুক্তির দুনিয়াতে নিজেকে দক্ষ হিসেবে পরিচিত করতে অবশ্যই লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। সময়ের মূল্য দিতে হবে এবং যথাযথভাবে নিজের টার্গেট পূরণ করার জন্য কাজ করতে হবে। আপনি যদি টার্গেট থেকে সরে যান এবং মনে করেন পরবর্তীতে তা পূরণ করবেন তাহলে এই প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে পড়বেন। এই সেক্টরে ভালো করতে গেলে অবশ্যই মন স্থির রেখে টার্গেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে, তাহলেই সফল হওয়া সম্ভব।
এনএম/এজেড