সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ও দ্বিতীয়—এই দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২ জানুয়ারি, ২০২৬ তারিখে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আজ বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পরীক্ষা গ্রহণের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সবাই পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেন।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে আছে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগ। এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত ৫ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যদিকে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ১২ নভেম্বর।
বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় এবার প্রার্থীদের তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে। প্রথম ধাপে ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের বিপরীতে মোট আবেদন জমা পড়েছিল ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। এই ধাপে প্রতি পদের জন্য প্রায় ৭৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দ্বিতীয় ধাপেও আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এই ধাপে ৪ হাজার ১৬৬টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৫১টি। এক্ষেত্রে প্রতিটি পদের জন্য লড়বেন ৮০ জনের বেশি চাকরিপ্রত্যাশী।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, সংশোধিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্তত’ শব্দগুচ্ছ সংযোজন করা হয়েছে। ফলে বিজ্ঞান বিভাগের প্রার্থীরা সরাসরি নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন।
নিয়োগ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য গত ৩১ আগস্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চেয়ারম্যান করে আট সদস্যের ‘কেন্দ্রীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
এনএম

