সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কীভাবে সিভি লিখলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে

চাকরি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২৩, ০২:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

কীভাবে সিভি লিখলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে

চাকরিক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হলো সিভি বা রিজিউম। সিভিতে যদি ব্যক্তির যোগ্যতা, কর্মক্ষমতা বা অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা না হয় সেক্ষেত্রে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আবেদনকারী সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে বা বুঝতে সক্ষম হন না। 

তাই সিভি যদি সঠিক নিয়মে বানানো না হয় সেক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে ব্যক্তিত্বেরও ভুল প্রতিফলন হয়। চাকরিতে প্রার্থী নির্বাচিত হবেন কি না তা এই রিজিউমের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুত থাকা যতটা জরুরী, সঠিকভাবে বায়োডাটা সাজানো তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই কীভাবে সিভি লিখলে চাকরিক্ষেত্রে আপনি অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন- 


বিজ্ঞাপন


সহজ করে লিখা

যেকোনো চাকরির জন্য সিভি লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে এর ভাষা যেন সহজ হয়। সহজ ও সাবলীল ভাষায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতাসহ যাবতীয় তথ্য সিভিতে সাজিয়ে লিখতে হবে। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যেন আবেদনকারীর বিষয়ে ভালোভাবে বুঝতে পারেন সেদিকে নজর রাখা জরুরি। সেক্ষেত্রে শব্দচয়ন হতে হবে সহজ ও সাবলীল।

ব্যাকরণগত ভুল না করা


বিজ্ঞাপন


সিভি লেখার সময় বাক্য গঠন এবং শব্দচয়নের সঙ্গে যাতে ব্যাকরণের ভুল না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। রিজিউম লেখার সময় ব্যাকরণগত ভুল করা চলবে না। কারণ সিভিতে ব্যাকরণগত ভুল নিয়োগকর্তার কাছে আপনার উদাসীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাবের পরিচয় ফুটিয়ে তোলে। তাই কারো যোগ্যতা যতই ভালো হোক না কেন ব্যাকরণগত ভুলের কারণে নিয়োগকর্তা সিভি সম্পূর্ণ না পড়েই রেখে দিতে পারেন।

বর্তমান ও প্রাসঙ্গিক তথ্য তুলে ধরা

সিভি লেখার সময় ব্যক্তির বর্তমান এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য ফুটিয়ে তুলতে হবে। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ক্রমানুসারে সাজানো জরুরি। ধরুন কারো যদি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে সেক্ষেত্রে সবার শেষে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন তার তথ্য আগে দিন। তারপর ধীরে ধীরে আপনার প্রথম কোম্পানির তথ্য দিন। একইসঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রেও আপনার প্রাপ্ত শেষ যোগ্যতাকে প্রথমে উল্লেখ করে একেবারে শেষে আপনার প্রথম শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে লিখতে হবে।

গল্পের মতো করে লেখা

যেকোনো ভালো গল্পই পাঠককে আকর্ষণ করে। গল্প ভালো হলে পাঠকের আগ্রহ দীর্ঘক্ষণ সেই গল্পের প্রতি থাকে। তাই যেকোনো পেশার সিভি গল্পের মতো হওয়া উচিৎ। সহজ ও সাবলীল ভাষায় প্রার্থীর সমগ্র যোগ্যতা, অভিজ্ঞতাসহ সামগ্রিক বিষয়টি পড়তে যেন নিয়োগকর্তার একঘেয়েমি না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ শুধু সঠিক ও প্রাসঙ্গিক তথ্যই নয়, রিজিউম পড়তে যাতে নিয়োগকর্তার গল্পের মতো ভালো লাগে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

নিজের পয়েন্টের প্রেক্ষিতে তথ্য দেওয়া

সিভিতে লেখা প্রতিটি পয়েন্টের যাতে সঠিক প্রমাণসহ তথ্য থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য বিষয় উল্লেখের সময় জোর দিতে হবে তথ্যের ওপর। প্রমাণসহ তথ্য ছাড়া কোনও সিভি নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে না।

সঠিক নিয়মে সিভি লেখা

প্রতিটি পেশার ক্ষেত্রে সিভি তৈরি করার সময় এতে ভিন্নতা আনতে হবে। তবে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় প্রতিটি পেশার রিজিউমেই এক রাখতে হবে। অর্থাৎ যে পেশার জন্য সিভি তৈরি করা হবে সেই পেশার চাহিদার উপর নির্ভর করেই এটি তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি সিভিতেই প্রার্থীর অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, দক্ষতাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে যে কোনও পেশাতেই সঠিক ধরন মেনে সিভি তৈরি করা খুবই জরুরি।

সিভি একজন ব্যক্তির সামগ্রিক ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন। যা নিয়োগকর্তার কাছে আপনাকে সম্পূর্ণভাবে উপস্থাপন করে। এটিই নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আপনার প্রথম লিখিত যোগাযোগ মাধ্যম। তাই সিভি লেখার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর