শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই পুনর্নির্বাচিত হবে’

আবু সাঈদ রনি
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:০১ এএম

শেয়ার করুন:

‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই পুনর্নির্বাচিত হবে’

জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার প্রণোদনাসহ প্রতিটি সেক্টরে সফলভাবে কাজ করেছেন। গৃহহীনদের জন্য গৃহ, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো, মেগা প্রকল্প- সব মিলিয়েই তিনি উন্নয়নের কাজ করেছেন। যে দল উন্নয়নের কাজ করে, মানুষের পেটে ভাত তুলে দেয়, সেই আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই পুনরায় নির্বাচিত হবে— এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

সম্প্রতি ঢাকা মেইলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকা মেইলের রাজশাহী প্রতিনিধি আবু সাঈদ রনি।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইল: আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আপনার ভাবনা কি?

আলী কামাল: যেকোনো দেশে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরটাই কাম্য। বাংলাদেশেও তারই ধারাবাহিকতায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমার ধারণা, জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার প্রণোদনাসহ প্রতিটি সেক্টরে তিনি সফলভাবে কাজ করেছেন। গৃহহীনদের জন্য গৃহ, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো, মেগা প্রকল্প সব মিলিয়েই তিনি উন্নয়নের কাজ করেছেন। আমরা ধরে নিতে পারি, যে দল উন্নয়নের কাজ করে, মানুষের পেটে ভাত তুলে দেয়, সেই আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট প্রত্যাশা করে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই পুনরায় নির্বাচিত হবে।

রাজশাহী সিটিতে খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এক সময় রাজশাহী শহরকে বলা হতো ধূলিকণার শহর, আবর্জনার শহর। কিন্তু এখন রাজশাহী শহর পৃথিবীর অন্যান্য সিটির তুলনায় কোনো অংশে কম নেই। বরং রাজশাহী সিটিই পর্যটনের একটা কেন্দ্রবিন্দু বলা যেতে পারে। সারা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন জায়গার মানুষ এখন রাজশাহীকে দেখতে আসছে। এখানে যে উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে, এ সমস্ত সাফল্যের কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীই ইনশাআল্লাহ জয়যুক্ত হবে।

ঢাকা মেইল: রাসিক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি কি?


বিজ্ঞাপন


আলী কামাল: জাতীয় পরিষদ (সংসদ) নির্বাচন নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের কার্য করেছেন এটা নয়, তিনি বারবার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বসছেন। উপজেলা হোক, ইউনিয়ন কাউন্সিল হোক অথবা সিটি করপোরেশনে হোক, প্রতিটি জায়গায় কাউন্সিল করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজশাহী মহানগরীর পাঁচটি সাংগঠনিক থানারই কাউন্সিল সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে ওয়ার্ডগুলোতে কার্যক্রম শুরু করছি।

আমাদের শক্তির উৎস দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা কেউই নির্বাচনের সময় ঘরে বসে থাকে না। আর আওয়ামী লীগ কোনোদিন নির্বাচন বয়কট বা বর্জন করেনি। একটি রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে ক্রমশই তার নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা হতাশা আসে। অচিরেই সেই দলগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়। আমি কামনা করি, জননেত্রী শেখ হাসিনার দল, খায়রুজ্জামান লিটনের দল, যেকোনো রকমের নির্বাচনকে আমরা ভয় করে না। আমরা নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়েই পুনরায় ক্ষমতায় যাব ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা মেইল: রাসিক নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া বা বিরত থাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত কি না?

আলী কামাল: এ ব্যাপারে জাতীয়ভাবে নেত্রীই বলবেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন দল নির্বাচনে আসল, কোন দল আসল না, কার কতটুকু শক্তি এটা বিবেচনায় আনি না। যেহেতু আমার দল নিয়ে চর্চা করি, আমার নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করছি, তাই এটা নিয়ে মাথা ব্যথা আমাদের নাই। আমাদের যথেষ্ট শক্তি আছে নির্বাচন ফেস করে পুনরায় পার্লামেন্ট জয়যুক্ত করার।

ঢাকা মেইল: নগরীর গত ৫ বছরের কার্যক্রমকে কিভাবে উপস্থাপন করবেন?

আলী কামাল: উন্নয়ন এক প্রকার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নির্দিষ্ট সময়ে কোনো কাজের অর্ধেক সমাপ্ত হয়, কোনো কাজের তিন ভাগ সমাপ্ত হয়। একটা রাজনৈতিক দল যদি দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে তাহলে সেই উন্নয়নের কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। অতীতে দেখেছি, ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ যে কাজগুলো করেছে, পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই সমস্ত কাজগুলোকে অন্য খাতে প্রবাহিত করেছে। একটি দল যখন দুই-তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকে তখন উন্নয়ন কাজগুলো সমাপ্তির পথে এগিয়ে যায়।

ঢাকা মেইল: রাসিক নির্বাচনে জনগণের কাছে প্রত্যাশা কি?

আলী কামাল: আমরা আমাদের সব ধরনের প্রক্রিয়া বজায় রেখেছি। আমাদের থানা, ওয়ার্ড এমনকি মহল্লা পর্যন্ত কমিটিগুলো প্রস্তুত আাছে। যে প্রার্থীই আমাদের ঘোষিত হবে, সাথে সাথেই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব এবং জনগণের দ্বারে দ্বারে যাব। আরেকটি ব্যাপার আগে আমরা লক্ষ্য করতাম, পুরুষ বুথে আমরা যে ভোট পেতাম তার পাশেই মহিলা বুথে আমাদের ভোট দু-একশ কমে যেত। বর্তমানে আমরা আশাবাদী, পুরুষ বুথ থেকে এবার তার বিপরীত দেখতে পাব। জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত করেছেন সে জন্য নারী বুথে এবার আমরা বেশি ভোট পাব।

ঢাকা মেইল: সম্প্রতি আলোচিত নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভিডিও কেলেঙ্কারি নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি না?

আলী কামাল: আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা নিয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। এটা আমাদের দলের কাছে কেউ বিচারপ্রার্থী হয়নি, বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন হয়েছে। এটা একটা অপরাধ। ডাবলু সরকার থানায় একটা মামলাও করেছেন, সেটার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আর এটা দিয়ে দলের বিন্দুমাত্র কোনো ক্ষতি হবে না।

ঢাকা মেইল: রাসিক নির্বাচনে আপনার প্রত্যাশা কি?

আলী কামাল: আমরা এখানে লিটনকেই চাই, লিটনই হবে হয়তো। তবুও বলে রাখি, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবে তার জন্যই আমরা কাজ করব। তিনিই আমাদের চালিকাশক্তি।

প্রতিনিধি/এইচই/এমএইচএম/জেএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর