মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘আমরা আন্দোলনে আছি, রাজপথেই ফায়সালা হবে’

মো. ইলিয়াস, বেলাল হোসেন রাজু
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২২, ১২:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএনপি মনোনীত সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে। সায়েন্সের শিক্ষার্থী হলেও ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি তার দুর্বলতা রয়েছে। পেশা হিসেবে বেছে নেন আইন। তার পিতা প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ অলি আহাদ ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অন্যতম নায়ক এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। পিতার মৃত্যুর পরে ২০১২ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। বর্তমানে দলটির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, সংসদে বিএনপির অর্জন, আগামী নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা মেইলের মো. ইলিয়াস ও বেলাল হোসেন রাজু  


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইল: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না–কেন এমনটি হচ্ছে?

রুমিন ফারহানা: আসলে জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা নেই বলেই তাদের (জনগণের) কথা না ভেবে দিনের-পর-দিন দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হচ্ছে। এই ঊর্ধ্বগতির মূল দায়টা সরকারের। দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য সরকারের কাছে তিনটি করণীয় রয়েছে- ক. শুল্ক কমিয়ে দেওয়া; খ. খোলাবাজারে বিক্রি বাড়িয়ে দেওয়া এবং গ. নজরদারি বা বাজার মনিটরিং ভালোভাবে করা। এছাড়া আমি মনে করি চাঁদাবাজি বন্ধ করা। পথে পথে চাঁদা দিতে হয়, যে কারণে আমাদের জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যায়। এটাকে কন্ট্রোল করা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে সদিচ্ছা। সরকারের সদিচ্ছা নেই। আমরা মূল সিন্ডিকেটের কাছে দাম কমানোর জন্য বারবার আবেদন করে আসছি, কিন্তু মূল সিন্ডিকেট তো সরকার এবং সরকারের কিছু কর্মী; যারা সরকার থেকে সরাসরি সুবিধাপ্রাপ্ত। দাম বাড়ার সুবিধাটা পুরোপুরি তারা নেয়। সেজন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছা আমরা দেখি না। 

ঢাকা মেইল: আপনি রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। বর্তমান রাজনীতি সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

রুমিন ফারহানা: বর্তমানে দেশে কি রাজনীতি আছে? এটাই তো একটা প্রশ্ন। কারণ গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে যে জিনিসটা ধ্বংস করা হয়েছে সেটা হচ্ছে রাজনীতি। পুরোপুরিভাবে আমলাতন্ত্র করা হয়েছে, বহু মত, বহু পথের যে রাজনীতি সেটাকে ধ্বংস করা হয়েছে এবং এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে, সরকারের বাইরে কথা বললে আপনাকে আইনগতভাবে ধরা হবে; আইনের বাইরে আপনাকে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হতে হবে, আপনার নামে মামলা দেওয়া হবে। সুতরাং বাংলাদেশের যে রাজনীতি ছিল বহু পথের সম্মিলন সে জায়গাটা তো নষ্ট করা হয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


rumin2

ঢাকা মেইল: এই প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী?

রুমিন ফারহানা: বলাটা কঠিন। তবে আমি মনে করি সামনে আরও কঠিন দিন আসছে। যেভাবে আমরা নির্বাচন ও ভোটের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছি, যেভাবে মানুষকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি এবং যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি, তার ফল ভালো হওয়ার কোনো কারণ নেই। দুটি জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেছে, যেখানে কোনো রকম ভোটের প্রয়োজন হয়নি। যেখানে সাধারণ মানুষের কোনো রকম সম্পৃক্ততা আমরা লক্ষ্য করিনি। আমরা দেখেছি প্রশাসন ভোট দিয়েছে, পুলিশ ভোট দিয়েছে, সরকারের গুণ্ডা বাহিনী ভোট দিয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা এই নির্বাচনে আমরা দেখিনি। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি, হুদা কমিশন এবং রকিব কমিশন তাদের কার্যক্রমের জন্য গর্বিত ছিল। অর্থাৎ ন্যূনতম যে অনুশোচনা এবং ব্যর্থতার দায় স্বীকার, সেটাও তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি। বাংলাদেশের জন্য এটা দুর্ভাগ্য তো বটেই। 

ঢাকা মেইল: এই সরকারের অধীনে বিএনপি কি আগামী নির্বাচনে যাবে?

রুমিন ফারহানা: বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, দলীয় সরকারের অধীনে আজ পর্যন্ত কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। বাংলাদেশ জন্মের পরে প্রথম যে নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭৩ সালে, সেই নির্বাচনে জাসদের কিছু প্রার্থী, ন্যাপের কিছু প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র দু-একজন জয়লাভ করেন। কিন্তু দেখা গেছে, সেই নির্বাচনে তৎকালীন সরকার ব্যালট বাক্স থেকে শুরু করে নির্বাচনের ফল পরিবর্তন করা পর্যন্ত সবই করেছে। আমার বাবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। তখন বেসরকারিভাবে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে ফল পরিবর্তন করে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে সেই জায়গায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। যাকে পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। '৭৩ সালে শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, ডাকসু নির্বাচনেও নির্লজ্জ কারচুপি করা হয়। সেজন্য পরবর্তী সময়ে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মিডিয়ার কাছে মাফ চেয়েছেন। বলেছিলেন, ডাকসু নির্বাচনে আমরা যে কারচুপি করেছিলাম সরকারি দলের পক্ষে, সেটা ঠিক করিনি। বাংলাদেশের জন্মের পর আমরা দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। যে চারটা নির্বাচন মোটাদাগে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে তা হলো- ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ এর নির্বাচন। এই চারটি নির্বাচন কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। আমরাতো একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারিনি। সাম্প্রতিক যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়ে গেল সেখানে দেখা গেছে, যে মার্কা পেয়েছে সে মার্কাতেই জয়, ভীষণরকম সহিংসতা, সরকারি দলের প্রার্থীদের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মারামারিতে প্রায় দেড়শ লোকের প্রাণহানি হয়েছে, কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এরকম নির্বাচন তো মানুষ দেখতে চায় না। এরকম নির্বাচনে যাওয়ার তো কোনো অর্থ হয় না। যে নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারবে না, যে নির্বাচনে মানুষের ইচ্ছের কোনো প্রতিফলন আমরা দেখতে পাবো না, সে নির্বাচনে গিয়ে লাভ কী।

ঢাকা মেইল: বিএনপি তাহলে এখন কী করবে?

রুমিন ফারহানা: বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করবে। আমাদের দল থেকে সেটা পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশের ভাগ্য কোন পথে হবে, সেটার ফয়সালা হবে রাজপথে। সুতরাং আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি, আন্দোলনের মধ্যে রয়েছি এবং আন্দোলন করেই দাবি আদায় হবে ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা মেইল: এই সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি তো তা থামাতে পারেনি।

রুমিন ফারহানা: একটি কথা পরিষ্কার বলতে চাই, ২০১৪, ২০১৮ আর ২০২৪ কিন্তু এক নয়। ২০১৪ সালে তারা এক কায়দায় জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা বলেছিল, এটা একটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। আমরা অচিরেই আরেকটি নির্বাচন দেবো এবং সে নির্বাচন সবার অংশগ্রহণমূলক হবে। সে নির্বাচন তারা দেয়নি। ১৮ সালে তারা দিনে ভোট করতে পারেনি, রাতে নির্বাচন করে ফেলেছে। সেই নির্বাচন করেছে পুলিশ প্রশাসন এবং দলীয় ক্যাডার দিয়ে। ২৪ সালের নির্বাচন তেমন হবে বলে আমি মনে করি না। কারণ মানুষের মধ্যে যে তীব্র অসন্তোষ এবং ক্ষোভ আমি দেখি, সেটার বিস্ফোরণ হবে বলে আমি মনে করি। দেয়ালে মানুষের পিঠ ঠেকে গেছে। বিষয়টি শুধু এমন নয়, সেই পিঠ এখন ক্ষত-বিক্ষত। সুতরাং মানুষের এখন সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া পেছনের আর কোনো রাস্তা নেই। 

rumin3

ঢাকা মেইল: তাহলে আগামীর নির্বাচন কেমন হবে? 

রুমিন ফারহানা: ২০১৪ সালে জনগণের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালে আগের রাতে প্রশাসন দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। আগামীতে তেমন নির্বাচন করতে পারবে বলে আমি মনে করি না। কারণ মানুষ এখন অনেক সচেতন। মানুষ এখন সামনে আগাবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এবার ১৪ এবং ১৮ এর মতো ছাড় দেবে না সরকারকে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে একটি চাপ রয়েছে, সেটাও আপনারা দেখেছেন। 

ঢাকা মেইল: এজন্য বিএনপি কী ভূমিকা রাখবে বলে আপনি মনে করেন? 

রুমিন ফারহানা: বিএনপি রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলবে। বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে রয়েছে এবং আন্দোলন আরও বেগবান হবে ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা মেইল: বিএনপি এখনও দল পুনর্গঠন করতে পারেনি, তাদের পুনর্গঠন করতে আর কত সময় লাগতে পারে?

রুমিন ফারহানা: বিএনপি দল গঠন করতে পারেনি, এই কথাটির সাথে আমি একমত নই। গত ১৫ বছরে বিএনপিকে ভাঙার, নিষ্ক্রিয় করার, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে, তাদের গুম করে, বিচারবহির্ভূত হত্যা করে বিএনপিকে নিঃশেষ করার অনেক চেষ্টা হয়েছে। সেখানে কিন্তু সরকার সফল হয়নি। এখন আমরা জেলায় জেলায় বিক্ষোভ করছি, সমাবেশ করছি। সফিপুর সমাবেশে অংশ নিয়ে আমি দেখেছি সেখানে মানুষের ঢল। মানুষের মধ্যে আমি যে ক্ষোভ দেখছি, সরকারের ওপর যে বিতৃষ্ণা দেখেছি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যে নাভিশ্বাস অবস্থা, করোনায় বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সবকিছু মিলিয়ে মানুষের অবস্থা খুবই করুণ। এর ফল কিন্তু আগামীতে দেখা যাবে।

ঢাকা মেইল: সংসদে আপনাদের অর্জন কী? 

রুমিন ফারহানা: সংসদ আমাদের একটি প্ল্যাটফর্ম। যেটাকে ব্যবহার করে আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলতে পারছি, দেশের পক্ষে কথা বলতে পারছি, সরকারের সমালোচনা করতে পারছি। জাতীয় পার্টিকে যতই বিরোধী দল বলা হোক; মানুষ কিন্তু আমাদের এই কয়েকজনকে বিরোধী দল মনে করে। জনগণ মনে করে বিএনপির এই সাতজন প্রতিনিধি মূলত বিরোধী দল। আমরা যে কথাগুলো বলি এটা মিডিয়াতেও যেমন তুলে ধরে, মানুষও জানার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকে। আমরা তাদের কথা কী বলছি সেটা জানতে চায়। সেই জায়গাতে দাঁড়িয়ে আমরা মনে, করি দলের কথা, দেশের কথা, জনগণের কথা বলবার এই প্লাটফর্মটাকে আমরা ব্যবহার করতে পেরেছি। 

ঢাকা মেইল: বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য হিসেবে দলের কাজকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? 

রুমিন ফারহানা: সরকার যদি গণতন্ত্রের পক্ষে না হয়, তখন প্রতিটা দলের পক্ষে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করা কঠিন। সুতরাং অন্যান্য কমিটি যে রকম কাজ করছে আমাদের বিদেশ বিষয়ক কমিটিও তেমন কাজ করছে। বিদেশ বিষয়ক কমিটি তো দলের বাইরে বিচ্ছিন্ন কোনো কমিটি নয়। অন্যান্য কমিটি যেরকম আমাদের কমিটিরও তেমন কাজ করছে। আমাদের কমিটি যদি কাজ নাই করতো তাহলে বিদেশের সাথে যে সম্পর্ক এটা রাখছে কারা। আমরা একটা কথা বিশ্বাস করি যে, সবার সাথে বন্ধুত্ব এবং সমমর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব। এই জায়গা থেকে বিএনপি কখনোই সরে আসেনি এবং আমাদের দলের মূলনীতি কিন্তু সেটা। 

ঢাকা মেইল: আপনারাতো বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ করছেন। জনগণের মনোভাব কী লক্ষ্য করেছেন? 

রুমিন ফারহানা: সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ভীষণ রকম একটা বৈরী মনোভাব রয়েছে। জনগণকে যেভাবে চাপে রাখা হয়েছে সেই জায়গাটাতে বিস্ফোরণ আমার মনে হয় পরবর্তী নির্বাচনে দেখতে পাবো। 

rumin4

ঢাকা মেইল: সভা-সমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে কী মেসেজ আপনারা দিচ্ছেন? 

রুমিন ফারহানা: আমাদের কথা খুব পরিষ্কার; আমরা যদি দেশ বাঁচাতে চাই, মানুষ বাঁচাতে চাই, গণতন্ত্র বাঁচাতে চাই, মানুষের অধিকার চাই, দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই তাহলে বিএনপি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ নেই; মানুষ এটা বোঝে। আওয়ামী লীগের হাতে বারবার মানুষের ভোটের অধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে। মানুষ মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হয়েছে। বারবার মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা লুণ্ঠিত হয়েছে। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র, এটা মানুষ বোঝে। 

ঢাকা মেইল: বিদেশে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে নভেম্বরে সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধনে বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলেছেন, আমাদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন না। আমাদের দাবি অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত। এ দাবি মানা না হলে আমরা সংসদে থাকব কি না, সেটি ভেবে দেখব। এটা নিয়ে কী বলবেন? 

রুমিন ফারহানা: দলীয় সিদ্ধান্ত যদি হয় পদত্যাগ করার তাহলে আমরা পদত্যাগ করব। সেই মুহূর্তে অন্তত আমি পদত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত।

ঢাকা মেইল: ভিপি নুরের গণঅধিকার কার্যক্রম নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

রুমিন ফারহানা: আমি তাদের স্বাগত জানাই। কারণ গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হচ্ছে বহু ফুল সেখানে ফুটবে। ভিপি নুর বহুদূর এগিয়ে যাক, তার জন্য শুভকামনা রইল আমার তরফ থেকে। যার যার জায়গা থেকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে আওয়াজ তুলছে তাদের সঙ্গে আমাদের এক ধরনের সংহতি আছে। সে যেই হোক না কেন। 

ঢাকা মেইল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। 

রুমিন ফারহানা: আপনাকেও ধন্যবাদ।

এমই/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর