শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

হ্যাটট্রিক জয়ের প্রত্যাশা ব্যারিস্টার কাজলের

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২২, ১০:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপে নতুন নির্বাচন চান ব্যারিস্টার কাজল
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল (ফাইল ছবি)।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারও সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপিপন্থী নীল প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এবারের ভোটে বিজয়ী হয়ে তিনি হ্যাটট্রিক করতে চান। তার দাবি, করোনা মহামারির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন তাতে আইনজীবীরা তাকেই বেছে নেবেন। আইনজীবীদের মানোন্নয়ন, সমিতির কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন ঢাকা মেইলের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম মল্লিক।  

ঢাকা মেইল: টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন করছেন। কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন?


বিজ্ঞাপন


ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের প্রতিষ্ঠান। এই সমিতি ল’ইয়ারদের পেশাগত উন্নতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমি করোনাভাইরাসের মধ্যে দুই বছর চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি। পরিস্থিতিটা সুস্থ-স্বাভাবিক থাকলে আমি আমার কাজগুলো আরও ভালোভাবে করতে পারতাম। আমি বারের প্রতিটি জায়গা আধুনিকায়ন করেছি। নারী আইনজীবীদের জন্য ডে-কেয়ার, ব্রেস্ট ফিটিং কর্নারসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। করোনা পরিস্থিতি না থাকলে আরও দায়িত্ব পালন করতে পারতাম। সমিতির সদস্যদের জন্য শুধু নয়, জাতীয় পর্যায়ে আইনজীবীদের মান উন্নয়নে সামনে আরও দায়িত্ব পালন করতে চাই।

ঢাকা মেইল: পেশাগত মান উন্নয়নে আইনজীবীদের নিয়ে আপনারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। এসব প্রোগ্রামের আউটপুট কী?

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল: প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলোর আউটপুট পাচ্ছি। বিশেষ করে তরুণ আইনজীবীদের জন্য এসব প্রোগ্রাম খুব কাজে লেগেছে। অনেক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করেছিলাম, সেগুলো আমাদের আইনজীবীদের জন্য বেশি উপকারে এসেছে। বারে মামলা করতে গিয়ে আগের চেয়ে ভালো করছেন তারা। আইনজীবীরা উপকৃত হয়ে বলছেন, আমাদের জন্য এসব প্রোগ্রাম আরও বেশি বেশি করা দরকার।

ঢাকা মেইল: আদালত অঙ্গনে দুর্নীতি দূর করতে বারের কোনো ভূমিকা আছে কি?


বিজ্ঞাপন


ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল: আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, গত করোনার মধ্যে আমরা কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের হাতেনাতে ধরেছি। সেকশনে দায়িত্বরত দুর্নীতিগ্রস্তদের সিসিটিভির মাধ্যমে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছিলাম। কয়েকজনের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেনশন) করা হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত আদালত খোলা এবং ভার্চুয়ালি থাকার কারণে আমরা সহযোগিতা করেছিলাম। আমি প্রত্যাশা করি, নতুন প্রধান বিচারপতি আসার পরে উনি যে ঘোষণা দিয়েছেন, এটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সফলতা পাবে। আমরা সমিতি থেকে প্রধান বিচারপতিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

ঢাকা মেইল: সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মক্কেলদের জায়গার সংকট দূর করবেন কীভাবে?

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল: সুপ্রিম কোর্টের প্রয়োজনীয় জায়গার ব্যবস্থা করতে এবং এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতি ও সরকারের কাছে সহযোগিতা চাইবো।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট বারের ২০২২-২৩ সেশনের নির্বাচনে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের নীল প্যানেলের হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগেও কাজল ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ সেশনে দুইবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এআইএম/জেবি  

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর