শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘পুরস্কার পাওয়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে’

মো. ইলিয়াস, বেলাল হোসেন রাজু
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২২, ০২:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পরিবেশ পুরস্কার’, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ’, ২০০৯ সালে টাইম ম্যাগাজিনে ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট’ এবং ২০১২ সালে ফিলিপাইনের প্রখ্যাত ‘রামোন ম্যাগসেসে’ পুরস্কার লাভ করেন এই পরিবেশবাদী আইনজীবী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড) লাভ করেছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এই পুরস্কারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ঢাকা মেইলের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: বেলাল হোসেন রাজু ও মো. ইলিয়াস। 

ঢাকা মেইল: 'ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড' কারা এবং কেন পান? 
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: মূলত বিভিন্ন ধরনের অধিকার নিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের জন্য কাজ করেন এমন নারীরাই এই পুরস্কারটি পান। পুরস্কৃত হওয়ার মানে এই নয়, যে ক্ষেত্রে কাজ করছে সেই ক্ষেত্রে একেবারে সফলতা চলে এসেছে। কিন্তু বৈরী পরিবেশে কার্যক্রমগুলো সাহসিকতার সাথে চালিয়ে যাচ্ছে, কার্যক্রমগুলো প্রত্যয় নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে-সেটারই স্বীকৃতিমূলক হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইল: এই পুরস্কারের তালিকায় আপনার নাম আসার পর অনুভূতিটা কেমন?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: একটা পুরস্কার হচ্ছে কাজের স্বীকৃতি, এটা তো সবসময় ভালো লাগবে। বলতে হবে সে অনুভূতিটা খুবই ভালো লাগার। পুরস্কারটি ঘোষণার পর দুই দিন দুই রাত আমি শুধু ফোন ধরে যাচ্ছি, এসএমএসের আর মেইলের উত্তর দিচ্ছি। যখন পুরস্কার ঘোষণা হলো তখন একরকম আনন্দ, আর যখন এত মানুষের সমর্থন পেলাম তখন শক্তিটা অন্যরকম হয়ে যায়। যখন বৈরী পরিবেশে কাজ করেন, বিত্তবান বা বিত্তশালীদের বিরুদ্ধে আপনি দাঁড়ান, আপনাকে সবসময় একটি ঝুঁকির মধ্যে ভারসাম্য করে কাজ করতে হয়। আপনার মধ্যে একটা আতঙ্ক থাকে, আপনার ডিমোরালাইজ নষ্ট করার একটা সুযোগ থাকে। এজাতীয় স্বীকৃতিগুলো এবং মানুষের সমর্থন বলে দেয় আপনি সঠিক রয়েছেন। ফলে খুশি হয়েছি। আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। ফলে অঙ্গীকার অনেক বেড়ে গেছে। 

ঢাকা মেইল: এই পুরস্কারের আনুষ্ঠানিকতা কী রয়েছে?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: মার্কিন ফার্স্ট লেডি যিনি রয়েছেন তিনি এই পুরস্কারটি দেন। এই অনুষ্ঠানটি এখন ভার্চুয়ালি হবে। আমরা ১২ জন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংযুক্ত থাকবো। বিভিন্ন মিটিং করার কথা সেগুলো আমরা করব। একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পদক তুলে দেওয়া হবে। আমার সেক্টরে অন্য কর্মীদের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। যে অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটা বিনিময় করবো। 

ঢাকা মেইল: বর্তমানে পরিবেশসংক্রান্ত কী কী মামলা চলমান রয়েছে?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: আজকেও (১০ মার্চ) একটা মামলা জিতে এলাম। সেটা হলো নারায়ণগঞ্জের চিত্তরঞ্জন নামে একটি কটন মিলস রয়েছে। ওটা চলে না, একবারে লোকসানে চলে গেছে। ইতিহাসে পড়তাম, বাংলাদেশের পাট বিক্রি করে যে অর্থ আসে তা পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে গিয়ে সেখানে ইসলামাবাদ বানাচ্ছে। আমাদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে, সে টাকা আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। অথচ এখন একটার পর একটা পাটকল, বস্ত্র কল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যখন বস্ত্র কলটা বন্ধ হয়ে গেল, তখন জমির উপর নজর পড়ল মিল কর্তৃপক্ষের। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, এটা যদি আমরা বিক্রি করে দিই তাহলে এই টাকা দিয়ে আরও কয়েকটি অসুস্থ মিল চালাতে পারব। ওখানে একটি জলাশয় রয়েছে, খেলার মাঠ রয়েছে, বিনোদনের পার্ক রয়েছে। যখন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন আমাদের কাছে আবেদন করলো, তখন আমরা তাদের পক্ষে আদালতে গিয়ে বলি- ওরা চিত্তরঞ্জন মিলের জমি প্রাইভেট মিলের জন্য দিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পুকুরগুলো ভরতে পারবে না, খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্র নষ্ট করতে পারবে না। এগুলো নারায়ণগঞ্জের জন্য খুবই অপ্রতুল। দীর্ঘ আইনি লড়াই করে ২০১৩ সাল থেকে নড়তে নড়তে আজকে এসে রায়টা হলো। 


বিজ্ঞাপন


এছাড়া বাংলাদেশের জলসীমার বাইরে অত্যন্ত বিষাক্ত একটি জাহাজ অবস্থান করছে। এটা ভাঙার জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষ অনাপত্তি দিয়ে দিয়েছে। অনাপত্তিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। ওই জাহাজটা যেন বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকতে না পারে সেজন্য আমরা আইনি লড়াই করছি। এছাড়া লালমনিরহাটে পাথর ভাঙার জন্য প্রায় ৭২ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে। শ্রমিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। পাথর ভাঙার কারণে দিনের বেলাতেও কুয়াশার মতো হয়ে থাকে। মানুষ কিছুই দেখতে পায় না। তার মানে ওই এলাকা দিয়ে যে যাবে তারও ফুসফুস একটা আচ্ছাদন পড়ে যাবে। এরকম প্রায় তিনশর মতো মামলা রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মামলাগুলো নিয়ে ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠী আমাদের কাছে আসে। 

ঢাকা মেইল: এসব মামলার ব্যয় কীভাবে বহন করেন?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: বেলা হচ্ছে সরকারের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করা একটি বেসরকারি সংস্থা। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে অর্থ আনি এবং সেগুলো দিয়ে পরিচালনা করি। সংস্থাগুলো আমাদের কাছে এসে টাকা দিয়ে যায় না, আমাদেরকে বলতে হয় যে, আমরা এই কাজ করব, এই কাজ করার মাধ্যমে এই ফল দেখাতে পারবো বলে আমরা আশা করি। আমাদের কাছে যারা আইনের সহায়তা নিতে আসেন তাদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া সম্ভব নয়, কারণ তারা দরিদ্র।

ঢাকা মেইল: রাজধানীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বাধাগুলো কী কী? 
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: একটা দুঃসহ অবস্থা সময়ের এখানে কোনো মূল্য নেই। এখানে মানুষের স্বাস্থ্যের কোনো মূল্য নেই। বলা হয়, বায়ুদূষণের জন্য ঢাকা শহরের অধিবাসীরা ৫.৭ বছর আয়ু হারাচ্ছে। আপনার মা ৭০ বছর যিনি বাঁচেন, তিনি ৭৫ বছর বাঁচতে পারতেন, ৭৫ বছর যিনি বাঁচেন তিনি ৮০ বছর বাঁচতে পারতেন। যখন তথাকথিত উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়, তখন এই বিষয়টি মাথায় রাখা হয় না, কোনোভাবেই যেন আমার মায়ের, আমার সন্তানের আয়ু না কমে যায়। 

ঢাকা মেইল: ঢাকা শহরকে বসবাসযোগ্য করা কি সম্ভব?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: আমি বলব সম্ভব। যদি সিঙ্গাপুর বসবাসের জন্য সম্ভব হয়, মালয়েশিয়া বসবাসের জন্য সম্ভব হয়, যদি রোমান টাকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর সম্ভব হয়ে থাকে বাংলাদেশের ঢাকা শহরটাকে সেটা করা সম্ভব। রাজধানীতে মানুষের তুলনায় ভূমি অনেক কম। এই ভূমি এখন খনি হয়ে গেছে কতগুলো ভূমিদস্যুদের জন্য। তারা এমনভাবে দখল করছে যেখানে চাষাবাদ করার জন্য, এখানকার পানি নিষ্কাশন হওয়ার জন্য আমরা আর জলাশয়গুলো রাখতে পারছি না। আমরা সবুজগুলো রাখতে পারছি না। ছোটবেলায় আমরা যে গাছ ঢাকা শহরে দেখেছি সেই পরিমাণে যদি গাছ থাকতো, জলাশয় থাকতো তাহলে আমরা এই বিপর্যয়ের মুখে পড়তাম না। আমরা গার্মেন্টসগুলো কেন ঢাকায় নিয়ে এলাম।

ঢাকাতে যেসব গার্মেন্টস কর্মী থাকেন আপনার কি মনে হয় তারা খুব স্বস্তিতে থাকেন? তাদের যে জীবন এটাকে কি জীবন বলে? তাহলে কেন আমরা কেরানীগঞ্জ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া ভূমিদস্যুদের হাতে তুলে না দিয়ে পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুললাম না? যে পরিকল্পিত নগরে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারতাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরাতে পারতাম, যোগাযোগব্যবস্থা ঢাকার সাথে সংযুক্ত করে দিতাম। গার্মেন্টসগুলো এখান থেকে সরে যাওয়া মানেই হচ্ছে প্রায় ৪০ ভাগ জনগোষ্ঠী ঢাকা থেকে সরে যাওয়া। সেই পরিকল্পনা কেউ করছে না বরং ঢাকার মধ্যে জমির দাম কীভাবে আরও বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের জন্য ঢাকাটা হচ্ছে একটা খনি। যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি না থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ঢাকা শহর বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এজন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আমাদের দূরদর্শিতা। আমাদের প্রত্যয় লাগবে, যা সরাতে হবে তা সরাবো, যা আনতে হবে তা আনবো। যাকে শাস্তি দিতে হয় তাকে শাস্তির মুখোমুখি করব, কিন্তু এই শহরটাকে বাসযোগ্য একটি শহর আমরা সবার জন্য করে যাবো। 

sayda reswana
২০১২ সালে ফিলিপাইনের প্রখ্যাত ‘রামোন ম্যাগসেসে’ পুরস্কার গ্রহণ করছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা মেইল: আপনি যাদের বিরুদ্ধে মামলায় লড়াই করেন, তারা তো অনেক বিত্তশালী, ধনাঢ্য। আপনার মুখ বন্ধ করতে কখনও অফার করেছে কি না?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: মামলা বন্ধ করার জন্য বহুমুখী চাপ আসে। আমরা যখন মধুমতি মডেল টাউনের মামলা করি তখন বাংলাদেশে এমন কোনো সিনিয়র আইনজীবী নেই, যারা মধুমতি মামলায় সম্পৃক্ত হননি। সেটাও কিন্তু এক ধরনের চাপ। এটা আরও ১৭ বছর আগে, তখন এত সিনিয়র আইনজীবী দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার অন্য আইনজীবীদের বলা হয় মামলা থেকে সরে যান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যে প্রলোভন দেখানো হয় না এবং চাপ প্রয়োগ করা হয় না তা নয়। চাপের জন্য আমাদের এক সিনিয়র আইনজীবী এই পেশাটাই ছেড়ে দিয়েছেন। আমার অন্য সহযোগীদের নানামুখী রাজনৈতিক চাপ দেওয়া হয়। রাজনৈতিক পরিচয় দেওয়া হয়, অনেক সময় প্রলোভনের মুখোমুখি হতে হয়। 

ঢাকা মেইল: আপনি এই কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে আনন্দিত হয়েছেন এরকম একটি মুহূর্তের কথা আমাদের বলুন। 
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: আমার একটি নিজস্ব পারিবারিক বিপর্যয়ের (স্বামীকে তুলে নেওয়া) মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমি অফিসে যখন খবরটা শুনলাম সাথে সাথে স্পটে চলে গেলাম। আমাকে বলা হলো একটি গাড়ি থেকে নামিয়ে আরেকটি গাড়িতে তোলা হয়েছে। সেই রাতে আমি যখন বিষণ্ন মনে বাসায় ফিরি, যে পরিমাণে মানুষ আমার বাসায় দেখলাম, সংসদ সদস্য, বিজিএমই যাদের বিরুদ্ধে আমি আইনি লড়াই করেছি, এনজিও সেক্টর, আপনারা মিডিয়া আমাকেতো সারাক্ষণ সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। এতটা সম্মান পেয়েছি, তখন আমার মনে হয়েছিল আমি তাকে পেয়ে যাবো। হারানোর সুযোগ নেই। এই অনুভূতিটা কখনও ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। যখন বিভিন্ন জায়গা থেকে সরকারের কাছে চিঠি লেখা হলো, বলা হলো যে, ছেড়ে দিতে হবে, এটা হতে পারে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেল পুরো সমাজ, এটা আমাকে অনেক বেশি আনন্দিত করেছে। 

syeda rizwana hasan
স্বামি ও সন্তানদের সাথে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ঢাকা মেইল: সুযোগ পেলে কী দৃষ্টান্ত দেখাতে চান? 
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: আমাকে যদি সে সুযোগ দেওয়া হয় আমার হাতে যথেষ্ট কর্তৃত্ব দিয়ে, তাহলে তো দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। তাহলে তো আমাকে লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে না। যখন কর্তৃত্ব অধিকার কর্মীদের হাতে আসবে তখন আপনি যেই পরিবর্তিত সমাজ চান তাহলে ধরে নিতে হবে সেই পরিবর্তিত সমাজ চলে এসেছে। এটা একটা কল্পনার বিষয়। তারপরও যদি এরকম কর্তৃত্ব পাই আমি চেষ্টা করব ভূমিদস্যুতার অবসান করার। চেষ্টা করব কয়েকটি দৃষ্টান্ত করার। সব নদী, সব দখলদার, সব দূষণ যদি নাও পারি অন্তত একটি নদীর দখল দূষণমুক্ত দেখিয়ে দিয়ে যাওয়ার। কয়েকটি বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে দূষণের পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে এসে তারা যাতে দূষণ না করেন, পরিবেশসম্মতভাবে শিল্প-কারখানা চালান সেটা নিশ্চিত করার। তাহলে তাদের সাথে আমাদের ওই সংযুক্ত হবে। নদী যদি বাঁচে তারাও বাঁচবে, আমরাও বাঁচবো। ফলে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়তে ন্যায়ভিত্তিক সমাজে পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সকল স্টেকহোল্ডারের মনোজগতের যে দৃষ্টান্ত আনা দরকার, ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে সেই মনোজাগতিক পরিবর্তনটা নিয়ে আসার চেষ্টা করব।

ঢাকা মেইল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: আপনাদেরও অনেক ধন্যবাদ। 

এমই/জেবি/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর