শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণেই দেশের মানুষ ভালো নেই’

মো. ইলিয়াস
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২২, ০৯:১৬ এএম

শেয়ার করুন:

‘কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণেই দেশের মানুষ ভালো নেই’

শামসুজ্জামান দুদু। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের দয়িত্ব পালন করছেন। কৃষকদলের আহ্বায়ক হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে ধানের শীষের টিকিটে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই শিক্ষার্থী ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন।

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তৃণমূল নিয়ে বিএনপির ভাবনা, আগামী নির্বাচন, যুগপৎ আন্দোলনসহ নানা বিষয় নিয়ে ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্টাফ রিপোর্টার মো. ইলিয়াস। 


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইল: দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলুন।

শামসুজ্জামান দুদু: মানুষকে নিয়েই দেশের রাজনীতি। মানুষ যখন ভালো থাকে দেশের রাজনীতি তখন ভালো থাকে। দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে নিম্নবিত্ত মানুষের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মধ্যবিত্তের মানুষও দিশাহারা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন মধ্যবিত্তরা নিম্ন মধ্যবিত্তের পর্যায়ে। মানুষের কাজকর্ম চাকরি-বাকরি নেই বললেই চলে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে সমাজের সর্বক্ষেত্রে একটি অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। শুধু যে বিদ্যুৎ যাচ্ছে তাই নয়; শিল্প, কৃষি, শিক্ষা সবকিছুতেই চাপ বেড়েছে। সেই অর্থে বাংলাদেশের মানুষ খুব ভালো নেই। রাজনীতিও ভালো নেই। 

ঢাকা মেইল: কী পরিকল্পনা নিয়ে তৃণমূলে যাচ্ছেন?

শামসুজ্জামান দুদু: বিএনপিসহ যেসব দল গণতান্ত্রিক পূর্ণ প্রতিষ্ঠা এবং নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে, তাদের ওপর যে নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার মামলা, হামলা তার প্রতিবাদে মানুষকে সংগঠিত করা। জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধিতে অভাব অনটনে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। তাদের ঐক্যবদ্ধ করা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশে অভাব অনটনের প্রতিবাদে ভোলা জেলায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের এবং আরেকজন ছাত্রদলের নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তার প্রতিবাদে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে যাচ্ছি। অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে সমাবেশ করছি; যাতে সাধারণ মানুষ সমবেত হতে পারে। আর এই সরকারের বিরুদ্ধে একটি কার্যকরী প্রতিরোধ গড়তে পারে; এটাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। 


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইল: মূল ফোকাস কী হবে?

শামসুজ্জামান দুদু: মূল ফোকাসটা হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। মূল ফোকাসটা হচ্ছে জ্বালানি তেলের যে মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে, তা বাতিল করা। মূল ফোকাসটা হচ্ছে দ্রব্যমূল্য কমানো, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মূল ফোকাসটা হচ্ছে দলীয় সরকারের বাইরে একটি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। এগুলো হচ্ছে মূল ফোকাস। 

ঢাকা মেইল: তৃণমূলে অনেক জায়গায় কমিটি নেই। সেক্ষেত্রে এমন সাংগঠনিক সফরে নেতাকর্মীদের কতটা উজ্জীবিত করা যাবে বলে মনে করেন?

শামসুজ্জামান দুদু: কমিটি যেখানে নেই সেখানে চেষ্টা চলছে নতুন কমিটি দেওয়ার। আর গতিশীল সংগঠন তৈরি করার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সারাদেশের সম্মেলন করা হচ্ছে। আর সংগঠনের কমিটির পুনর্গঠন করা হচ্ছে। আন্দোলন সংগ্রাম সংগঠন এটা পাশাপাশি চলে।

ঢাকা মেইল: সরকারি দল বলছে জনপ্রিয়তায় তারা এগিয়ে। বিএনপি তলানিতে। আপনি কি মনে করেন।

শামসুজ্জামান দুদু: আসলে এই কথার কোনো সারমর্ম নেই, অশ্লীল কথা। গত দশ বছরে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। জাতীয় সংসদে, উপজেলায়, পৌরসভায়, ইউনিয়নে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন এবং তাদের বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক; নির্বাচন কমিশন দিয়ে জোর করে ভোট করিয়েছে। নির্বাচন দেশের মানুষের কাছে, বিশ্ববাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় নাই। জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হচ্ছে একটি স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের এই কথাটা মানুষ খুব ভালোভাবে গ্রহণ করবে বলা যায় না। বরং আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে মনে হয় তারা স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা যেটা, যারা রাজনীতি করে এটা তো মেনে নিতে হবে।

ঢাকা মেইল: এতদিন বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির আন্দোলন নিয়ে সক্রিয় ছিল বিএনপি। এখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামছেন। কোনোটায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি?

শামসুজ্জামান দুদু: গুরুত্বের দিক থেকে সবসময় সামনে থাকবে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। তাদেরকে গণতন্ত্রের জন্যই সাজা দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রকে ঠেকানোর জন্যই তারেক রহমানকে বিদেশে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। গণতন্ত্র না থাকলে স্বাভাবিক জীবন আমরা যেটাকে বলি সেটা থাকবে না। সে কারণে এক নাম্বার দুই নাম্বার যদি প্রশ্ন ওঠে তাহলে এক নাম্বারে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিক যে নির্বাচন, তার মধ্য দিয়ে স্বচ্ছ গ্রহণযোগ নির্বাচন আসবে। স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রধান নেত্রী, প্রধান নেতাকে বাদ দিয়ে তো আন্দোলন হয় না।

ঢাকা মেইল: আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখেই অংশগ্রহণ করবেন নাকি অন্য কোনো কৌশল রয়েছে?

শামসুজ্জামান দুদু: আমরা তো বলেছি নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া বাংলাদেশে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। স্পষ্ট করে আমরা বলেছি এবং যারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা আগামী দিনে জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবে। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি কোনো সরকার বড় কোনো রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করতে চায়, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাহলে সর্বক্ষেত্রে তা সফল হয় না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আগামী দিনে নির্বাচনে নির্দলীয় সরকারের বাইরে যদি উদ্যোগ নেয় তাহলে আওয়ামী লীগ বাদে অন্য কোনো দল এটা সহজভাবে গ্রহণ করবে সেটা মনে হয় না। এমনকি তাদের সাথে যারা আছে তারা কিন্তু ইতোমধ্যে সরকারের সমালোচনা মুখর হয়েছে। সেহেতু আগামী দিনে সরকার ইচ্ছে করলেই তার মতো করে করতে পারবে এটা মনে হয় না।

ঢাকা মেইল: বিএনপি বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, ক্ষমতাসীন দল বলছে সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই; তাহলে কি করবে?

শামসুজ্জামান দুদু: ১৯৯১ সালের নির্বাচন আপনাদের মনে আছে। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ সাহেব প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছিলেন। সেটা কী সংবিধানে ছিল? ছিল না। পরে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেটাকে সংবিধানের আওতায় আনা রয়েছে। সর্বশেষ মঈনের যে সরকার সেটা সংবিধান বহির্ভূত সরকার। ১/১১ এর সরকার। সেই সরকারের আন্ডারে আওয়ামী লীগ শুধু নির্বাচনই করেনি ক্ষমতায় গিয়ে তারা মঈনের সমস্ত অপকর্ম জায়েজ করেছে। স্বাভাবিক কারণে সংবিধান যদি হয় জনগণের ইচ্ছে পূরণে তাহলে সেটা ঠিক আছে। আর যদি ইচ্ছে পূরণের বাইরে হয় তাহলে সেখানে সংবিধানকে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জনগণ মনে করে।

ঢাকা মেইল: দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। এই হতাশা দূর করতে আগামী নির্বাচনের আগে কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা?

শামসুজ্জামান দুদু: বিএনপির জন্য এটা খুব হতাশার বলা যাবে না। ক্ষমতায় বিএনপি অনেকবারই ছিল জনগণের সমর্থন নিয়ে। গত ১৫ বছর সেটা ক্ষমতার বাইরে নয় একটি অপশাসনের বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ মামলা হামলা নির্যাতন এক কথায় কর্তৃত্ববাদী শাসন। সেটার কারণে বিএনপি এবং দেশের মানুষ খারাপ আছে, এই খারাপটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কর্তৃতবাদী শাসনকে রুখে দেওয়া, অবসান করা পরিবর্তন করা সেটি যতক্ষণ পর্যন্ত না করা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত কষ্টটা থেকেই যাবে।

ঢাকা মেইল: বিএনপির সবসময় বলে ঈদের পরে আন্দোলন হবে এটা নিয়ে বিভিন্ন মহলে অনেক সমালোচনা হয়। আসলে বিএনপি’র আন্দোলনের সক্ষমতা কত দূর?

শামসুজ্জামান দুদু: যেখানে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়, মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন হয় সেটা নিয়ে যারা উপহাস করে তাহলে বুঝতে হবে তারা কর্তৃত্ববাদী শাসনের পূজারী, তারা একদলীয় শাসনের পূজারী, তারা মানুষের ইচ্ছা, গণতন্ত্র নিয়ে উপহাস করছে। এগুলো আমরা অতীতেও দেখেছি সামরিক শাসক, কর্তৃতবাদী শাসকদের যারা পছন্দ করে তারা আল্টিমেটলি টিকে না। ওরা যতক্ষণ ক্ষমতায় থাকে ততক্ষণ উপহাস করে। এ নিয়ে এত চিন্তা করার কিছু নেই।

ঢাকা মেইল: যাদের সঙ্গে বিএনপি সংলাপ করেছে তাদের মধ্যে একটি সন্দেহ তৈরি হয়েছে, যে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করবে না এর নিশ্চয়তা কি? সন্দেহ দূর করার জন্য বিএনপি কোন ফর্মুলা আছে কি-না?

শামসুজ্জামান দুদু: ফর্মুলা আমাদের নেতা তারেক রহমান ইতোমধ্যে বলেছেন। গণতন্ত্রের জন্য যারা আন্দোলন করবেন; গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে। সেই নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে সব গণতান্ত্রিক দল, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদসহ সব পেশাজীবীকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে। যারা নির্বাচনে জিতবে, যারা জিতবে না কিন্তু গণতন্ত্র ও জনগণের পক্ষের প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াবেন, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করব। 

ঢাকা মেইল: বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করার কথা বলছে বিএনপি, এর নেতৃত্ব কে দেবে?

শামসুজ্জামান দুদু: যুগপৎ আন্দোলনের নেতৃত্ব আসলে যুগপৎভাবে তৈরি হয়। স্ব স্ব অবস্থান থেকে। যেমন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় সাত দল, ১৫ দল, বাম ঘরনার দলগুলো, ইসলামী দলগুলো এমনকি জামায়াত ইসলামী তারা এককভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচিগুলো সবাই আলোচনা করে নির্ধারণ করতে হয় এবং যার যার মতো করে পালন করতে হয়। এটা সবারই কর্মসূচি হিসেবে পরিগণিত। স্বাভাবিক কারণে যার যার স্থান থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। সেহেতু যুগপৎ আন্দোলনে একক কোনো নেতৃত্ব থাকে না। 

ঢাকা মেইল: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা কিভাবে দেখছেন?

শামসুজ্জামান দুদু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসলে কোনো মিথ্যা কথা বলেননি আমার বিবেচনায়। তাকে ধন্যবাদ দিতে হয়, তার সরকার এবং তার দল যেটা চায় সেটা তিনি মনে মনে না রেখে প্রকাশ্যে বলেছেন। তিনি ভারতের সঙ্গে যে কথা বলেছেন চিন্তা করেছেন সেটা প্রকাশ্যে বলেছেন। তিনি যা বলেছেন এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে। রাষ্ট্রের সামান্যতম বিরোধীতা করলে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মধ্যে পড়ে। তিনি যদি বলেছেন এটা ভয়ংকর একটি বিষয়। সে কারণে সরকার এবং আওয়ামী লীগ তার দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। স্বাভাবিক কারণে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা তিনি এখনও সরকারের লোক আওয়ামী লীগেরই লোক। তার কথাটা এখনো সরকারের কথা এবং আওয়ামী লীগের এই কথা। সরকার যদি তার দায়িত্ব না নেয় তাহলে ইতোমধ্যে তাকে বহিষ্কার করতে পারত। পদত্যাগে বাধ্য করতে পারত অথবা মন্ত্রিপরিষদ থেকে অপসারণ করতে পারত। কিন্তু এর একটিও বর্তমান সরকার বা তার দল সেটা করেনি।  

ঢাকা মেইল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শামসুজ্জামান দুদু: আপনাকেও ধন্যবাদ। 

এমই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর