শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘অস্ত্রের ঝনঝনানি নয়, শিক্ষার ফুলঝুরিতে বিশ্বাসী ছাত্রদল’

মো. ইলিয়াস
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২২, ১০:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

‘অস্ত্রের ঝনঝনানি নয়, শিক্ষার ফুলঝুরিতে বিশ্বাসী ছাত্রদল’
ছবি: ঢাকা মেইল

মেধা, শ্রম, ত্যাগ আর নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে ছাত্রদলের শিখরে পৌঁছেছেন সংগঠনটি সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। দলের আগামী কর্মসূচিগুলোয় নানামুখী চমক থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। ঢাকা মেইলকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন রাজনৈতিক প্রতিবেদক মো. ইলিয়াস।

ঢাকা মেইল: নতুন কমিটির সামনে কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করেন?


বিজ্ঞাপন


সাইফ মাহমুদ জুয়েল: বাংলাদেশে বর্তমানে একটি স্বৈররাজত্ব চলছে। জনগণের মৌলিক অধিকার তথা ভোটাধিকার হরণ করে ব্যাপক ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নিজেদের নির্বাচিত করেছেন আওয়ামী সরকার। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনকে জনগণ ‘দেশমুক্তির নির্বাচন’ হিসেবে গণনা করে। আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান স্পষ্টভাবে ম্যাসেজ দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের ফয়সালা রাজপথেই হবে।’ তাই এই আন্দোলনমুখি নির্বাচন তথা মা, মাটি মুক্তির এই যুদ্ধকে সামনে রেখে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে একটি দুর্নিবার যুদ্ধযন্ত্র হিসেবে তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। অতি অল্প সময়ে দেশব্যাপী সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচিত করে ছাত্রদলকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য সংগঠনে রূপ দেওয়াই আপাত দৃষ্টিতে চ্যালেঞ্জ মনে করছি।

ঢাকা মেইল: আপনি ছাত্রদলের জন্য কি চমক দেখাবেন?

সাইফ মাহমুদ জুয়েল: শুধুমাত্র ছাত্রদল কিংবা বিএনপি বা বাংলাদেশ নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার সমসাময়িক রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় চমক তারেক রহমান। ছাত্রদল উজ্জীবিত তার মতো সাংগঠনিক অভিভাবক পেয়ে। আমার ধ্যান, চিন্তা বা কাজ সবকিছুই আমার রাজনৈতিক অভিভাবক তারেক রহমানকে ঘিরে। তাই আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাই আগামীর ছাত্রদল তার প্রতিটি কর্মসূচিতে নানামুখী চমক দেখতে পাবে।

ঢাকা মেইল: শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আপনি ও আপনার নেতৃত্বে ছাত্রদলের ভূমিকা কি থাকবে?


বিজ্ঞাপন


সাইফ মাহমুদ জুয়েল: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলই একমাত্র ছাত্রসংগঠন যেটি সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি সংকটে ছাত্রদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থার সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আগামীতেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ে কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ। 

ঢাকা মেইল: শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল কেন করবে? ছাত্রদলের মধ্যে আকর্ষণীয় কি আছে?

সাইফ মাহমুদ জুয়েল: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অস্ত্রের ঝনঝনানিতে নয় বরং শিক্ষার ফুলঝুরিতে বিশ্বাসী। জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল একমাত্র ছাত্রসংগঠন যেটি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে, যার প্রতিটি কর্মী বাংলাদেশকে ধারণ করে। দেশের প্রতিটি সংকট উত্তরণে ছাত্রদল দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি পরিহার ও শোষকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শিক্ষার্থী তথা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া ছাত্ররাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘তারেক রহমান’। 

ঢাকা মেইল: ছাত্রদল নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

সাইফ মাহমুদ জুয়েল: বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে ধারণ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে আমার পথ চলা শুরু। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রাণপ্রিয় সংগঠনের দায়িত্বশীল যায়গায় অবস্থান করছি এমন একটি সময়ে যখন জন্মভূমির দেহে ভীনদেশি শকুনের নজর পড়েছে, রাষ্ট্রের শোষকেরা জনগণের সকল অধিকার শোষণ করে নিচ্ছে। যখন বেগম জিয়া কারারুদ্ধ, তারেক রহমান রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন। তাই ছাত্রদলকে এমন একটি সুসংগঠিত ও শৃঙ্খল ছাত্রসংগঠনে পরিণত করার পরিকল্পনা করছি যে সংগঠন দেশের গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধার, জনগণের ভোটাধিকার ফেরত ও দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতে মুক্ত বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেবে।

ঢাকা মেইল: আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদলের কাছে বিএনপির যে প্রত্যাশা তা পূরণে আপনারা কতটুকু তৈরি? 

সাইফ মাহমুদ জুয়েল: তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি কেন্দ্রের সাথে তৃণমূলের যোগসূত্র স্থাপন করেছেন। সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে দেশব্যাপী সকল কর্মীদের কাছে দেশমুক্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। ছাত্রদল এখন উজ্জীবিত, সুসংগঠিত।তারেক রহমানের নির্দেশনায় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্রদল। মাতৃভূমি রক্ষার এই যুদ্ধে দলের নির্দেশ পেলেই ছাত্রদলের প্রতিটি কর্মী নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু উৎসর্গ করার জন্য হাসিমুখে ঝাঁপিয়ে পরবে।

ঢাকা মেইল: অতীতে দেখা গেছে কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয় না। আপনারা কমিটি নিয়ে কি ভাবছেন?

সাইফ মাহমুদ জুয়েল: আগামী নির্বাচন ও আন্দোলনকে টার্গেট করেই ছাত্রদলের সদ্যঘোষিত কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার ২৩ দিনের মাথায় আমরা যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ৮টি ইউনিটের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছি। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তারা তাদের স্ব স্ব ইউনিটের পুর্ণাঙ্গ কমিটি করবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমরা ঢাকার বাকি ইউনিট ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করব। আন্দোলন শুরুর পূর্বেই আমরা দেশব্যাপী প্রতিটি ইউনিটের প্রতিটি কর্মীকে সাংগঠনিক পরিচয় দিতে বদ্ধপরিকর।

ঢাকা মেইল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

সাইফ মাহমুদ জুয়েল: আপনাকেও ধন্যবাদ।

এমই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর