অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের ২ বছরেরও বেশি সময় পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বিরোধীদের ওপর বিমান হামলা বাড়িয়েছে। সেনা শাসনের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র ও বেসামরিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে এসব বিমান হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ।
মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্লেষকরা জানান, বেসামরিক ব্যক্তিরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সব হামলার লক্ষ্যবস্তু ও ভুক্তভোগী। খবর বিবিসির
বিজ্ঞাপন
মিয়ানমার জুড়ে বিমান হামলার তথ্য মানবাধিকার সংস্থা, দাতব্য সংস্থা ও প্রতিরোধকারীদের বক্তব্যের সঙ্গে মিলে গেছে বলে জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সামরিক যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন সারা মিয়ানমার জুড়ে নজিরবিহীন হারে লক্ষ্যবস্তুর ওপর বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।
ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে যুদ্ধের হিসাব রাখছে।
সংস্থাটি এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ৪৯টি করে আকাশ পথে হামলা গণনা করেছে, যেটি গত বছরের মাসিক ৩৯টি হামলার চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি) বিমান হামলা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টির ওপর নজর রাখছে। প্রকল্পের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম ৩ মাসে ১৫০টি হামলা হয়েছে, যা সামরিক অভ্যুত্থানের পর যেকোনো ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ সংখ্যক হামলা।
বিজ্ঞাপন
প্রকল্পটি আরও জানায়, বিমান হামলার বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তারা সামরিক বাহিনীর আকাশ পথে হামলায় জানুয়ারি থেকে মার্চে ১৪৬টি মৃত্যুর ঘটনা চিহ্নিত করেছে। এ সংখ্যাটিও অভ্যুত্থানের পর যেকোনো ত্রৈমাসিকের সর্বোচ্চ।
প্রকল্পটি মার্চের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত আরও ৩৩০ জনের মৃত্যু চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে ১১ এপ্রিলের হামলাও অন্তর্ভুক্ত। এ হামলায় মিয়ানমারের কেন্দ্রে অবস্থিত সাগাইং অঞ্চলের একটি উৎসব উদযাপনের জন্য উপস্থিত হওয়া অন্তত ১৬০ পুরুষ, নারী ও শিশু নিহত হন।
দাতা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বেসামরিক ব্যক্তিরাই মূলত আক্রান্ত হচ্ছেন।
একে