শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বালেশ্বরে মোদি, দুর্ঘটনা নিয়ে নানান বক্তব্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২৩, ০৫:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

বালেশ্বরে মোদি, দুর্ঘটনা নিয়ে নানান বক্তব্য
দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সকালে দিল্লিতে দুর্ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

এখন বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন মোদি। তার সঙ্গে রয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর আহতদের দেখতে হাসপাতালে যাবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।


বিজ্ঞাপন


শনিবার বালেশ্বর যাওয়ার আগে নয়াদিল্লিতে বৈঠক করেন মোদি। বৈঠকে ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। 

এদিকে ওই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, মালগাড়ির বগির ওপর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন উঠে গেছে। দেখলে মনে হবে, কেউ যেন ধরে বসিয়ে দিয়েছে! পাশেই বেশ কয়েকটি কামরা লাইনের দু’দিকে কোনওটা কাত হয়ে, কোনওটা উল্টে পড়ে আছে।

ওড়িশার বাহানগা বাজার এলাকার যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা দেখলে মনে হবে মালগাড়ির তিন-চারটি বগিকে একেবারে পিষে দিয়ে শেষমেশ একটি বগির মাথায় উঠে থমকে গিয়েছে করমণ্ডলের ইঞ্জিন। মালগাড়িকে পিছন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধাক্কা মেরেছিল কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শনিবার সকালেই রেলমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের ঘোষণা করেছেন। গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবেন রেলের সেফটি কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব রেল)। যদিও রেলেরও দাবি, বাহানগা বাজারে কোনও মুখোমুখি বা পিছন থেকে সংঘর্ষের ঘটনা হয়নি। পাশাপাশি সংঘর্ষ হয়েছে।

কিন্তু যেভাবে মালগাড়ির ওপরে করমণ্ডলের ইঞ্জিন উঠে গেছে, তা দেখলে সাদা চোখে মনে হবে যে এটা পিছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা মারার ফল। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, কত গতিতে ধাক্কা মারলে করমণ্ডলের ইঞ্জিন মালগাড়ির ওপর উঠে যেতে পারে? রেল যদিও তাদের বিবৃতিতে মালগাড়ির প্রসঙ্গ আনেনি। করমণ্ডল ও বেঙ্গালুরু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের বেলাইন হওয়া এবং পাশাপাশি ধাক্কাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। দুর্ঘটনায় সময় কত গতিতে ছুটছিল ট্রেনটি সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে করমণ্ডল যে বেশ গতিতেই ছুটছিল, ধাক্কার অভিঘাতে সেটাই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর পরই করমণ্ডলের সামনের দিকের কয়েকটি কামরা একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। মোট ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে যে দৃশ্য বারবারই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, তা হচ্ছে কীভাবে মালগাড়ির ওপরে চেপে বসল ইঞ্জিন? রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অভিজ্ঞদের মতে, যেকোনো ইঞ্জিনের সামনে, বা কামরার মধ্যে ও পিছনে ‘বাফার’ থাকে।

ছবিতে মালগাড়িটি দেখে মনে হচ্ছে, সেটি ভর্তি ছিল। তাদের মতে, ধরে নেওয়া যাক ওই মালগাড়ির পিছনে করমণ্ডল ধাক্কা মেরেছে। সে ক্ষেত্রে মালগাড়ি খালি থাকলে তার কামরার পিছন দিকে ঢুকে যেত ইঞ্জিন। কিন্তু ওয়াগনগুলো ভর্তি ছিল বলেই ধাক্কার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনের সামনে থাকা বাফার সেটিকে ঠেলে ওপরের দিকে তুলে দিয়েছে। যে কারণে ওয়াগনের ওপর গিয়ে আটকে গেছে ইঞ্জিন। যদিও এ সবই প্রকাশ্যে আসা ছবি দেখে মনে করা হচ্ছে। বাস্তবের সঙ্গে তার কোনো মিল আছে কিনা, তা বোঝা যাবে তদন্ত শেষে। রেলও একই কথা জানিয়েছে। তাদের দাবি, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঠিক কী হয়েছে, তা বলা সম্ভব নয়।

সূত্র : এবিপি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর