বুধবার তিনটি মামলায় জামিন পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত ১৫ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাকে ৩১মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিল। বুধবার আদালত তার জামিনের মেয়াদ তিন দিন বাড়িয়েছে। এরপর দুর্নীতি দমন আদালত বা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্টের কাছে পাকাপাকিভাবে আবেদন করলে সেই কোর্টও তাকে বুধবার ১৯ জুন পর্যন্ত জামিন দিয়েছে। তবে জামিনের পরও বিপদ কাটেনি ইমরান খানের।
ইমরানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই শতাধিক মামলা হয়েছে। আরও মামলা হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। মামলাগুলো দায়ের হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে। বেশিরভাগ মামলাতেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে ভাঙচুরে উসকানির অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির গুচ্ছ মামলা তো আছেই।
বিজ্ঞাপন
বুধবার ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও আদালত জামিন দিয়েছে। ইমরানের মতো তাকেও গ্রেফতার করা জরুরি ছিল না বলে মন্তব্য করেছে আদালত। স্বামী-স্ত্রী দু’জনের বিরুদ্ধেই সরকারি জমি আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করার পথে হাঁটছে। ৯ মে ইমরানকে গ্রেফতারের পর দেশজুড়ে তার সমর্থকেরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারপর থেকে পাকিস্তান প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠলেও আস্তে আস্তে আন্দোলন কমে এসেছে। ইতোমধ্যে দশ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, তাকে গৃহবন্দি করে দল অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। ইমরানকে গৃহবন্দি রেখে অক্টোবর-নভেম্বর মাস নাগাদ দেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচন করার চিন্তাভাবনা চলছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এবং রাজনৈতিক মহল তাই মনে করছে, জামিনের মেয়াদ বাড়লেও ইমরানের বিপদ বিন্দুমাত্র কমেনি। তাকে এখন দেশের নানা প্রান্তে গিয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করতে হবে। আর এটাই তিনি চাইছেন না। ইমরান প্রকাশ্যেই বলেছেন, লাহোরের জামান পার্কের বাড়ির বাইরে তিনি নিজেকে নিরাপদ মনে করেন না। তাকে হত্যা করা হতে পারে। ইতোমধ্যে একবার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইমরানের আরও বড় বিপদ তিনি দল রাখা নিয়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। প্রথমসারির নেতারা তাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করছেন। বুধবারও ৭৫জন নেতা পাকিস্তান তেহেরিক ই ইনসাফ পার্টি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ইমরান বারে বারে অনুরোধ করা সত্ত্বেও দল ছাড়ার ধারা অব্যাহত। এরই মধ্যে আবার তার সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাবও নাকচ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
সূত্র: দ্য ওয়াল
একে