বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

এরদোয়ানের জয়ে তুরস্ক ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়বে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩, ০৭:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

এরদোয়ানের জয়ে তুরস্ক ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়বে!
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডানে)

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ২৮ মে তারিখের নির্বাচনে জয় লাভের পর তুরস্ক ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা আরও বড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। সোমবার তারা জানিয়েছে, ‘এরদোয়ানের জয়ে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার যৌথ প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন আর দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হবে।’ 

ক্রেমলিনের (রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর) মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই রাশিয়া-তুরস্কের যৌথ প্রকল্পের কাজগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দু’দেশের এ যৌথ প্রকল্পের বাস্তবায়নে মোটামুটি উচ্চ গতিশীলতা রয়েছে। আমরা এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। কারণ, এ যৌথ প্রকল্পের কাজগুলো সত্যিই অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী।’


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, এরদোয়ান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে। তারা দ্রুতই একটি মুখোমুখি আলোচনা বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন।

অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুসারে, এরদোয়ান ৫১.১৪ শতাংশ ভোট নিয়ে রোববারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগ্লু ৪৭.৮৬ শতাংশ ভোট পান।

এ জয়ের পর দ্রুত এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট এতোটাই উৎসাহী ছিলেন যে তিনি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা পর্যন্তও অপেক্ষা করেননি। পুতিন বলেছেন, ‘এরদোয়ানের “নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি” তার বিজয়ের অন্যতম একটি কারণ। এছাড়া তিনি রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করেছেন, তাই জনগণ তাকে সমর্থন করেছে।

ইউক্রেনে পুরোদমে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর ন্যাটো জোটে তুরস্কের মিত্র দেশগুলো যখন রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং এসব দেশ রাশিয়ার ওপর তাদের জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তখন পুতিনকে পরিত্যাগ করে তাকে একঘরে করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


রুশ প্রেসিডেন্ট এ কারণে এরদোয়ানকে পছন্দ করেন। এছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের ব্যাপারে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছেন। এ বিষয়ে কিছুটা আলোচনাও হয়েছিল।

জাতিসংঘের উদ্যোগে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ চলাচলের বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে হওয়া এক সমঝোতাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন তুরস্কের।

এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।

এ কারণে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আবারও তুর্কি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তুরস্ক ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা আরও বড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। দু’দেশ জ্বালানি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বানিজ্য ইস্যুতে আরও ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতার কথা ভাবছে। সুতরাং, ভবিষ্যতে এরদোয়ানের নেতৃত্বে তুরস্ক ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, বিবিসি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর