পশ্চিমা নেতাদের কাছে খুব বেশি পছন্দের নন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তারপরও ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবে এরদোয়ানকে স্বীকার করেন তারা। কাজ করেন একসঙ্গে। এমনকি নানাক্ষেত্রে তুরস্ক কিংমেকারের ভূমিকাও পালন করে। কেন পশ্চিমাদের কাছে এরদোয়ানের এতটা গুরুত্ব সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ঢাকা মেইলের পাঠকদের জন্য সেটি তুলে ধরা হলো।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে অভিনন্দন জানাতে আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে যেভাবে তাড়াহুড়ো লেগে গিয়েছিল তা থেকে বিশ্বে তুরস্কের কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
রবিবার দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারুগ্লুকে পরাজিত করে এরদোয়ান দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ান দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন এবং এই ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে পারায় তাকে অনেক আগেভাগেই অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ বিষয়ে পুতিন এতোটাই উৎসাহী ছিলেন যে তিনি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা পর্যন্তও অপেক্ষা করেননি। সরকারিভাবে ফল ঘোষণার আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এরদোয়ানের “নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি” তার বিজয়ের অন্যতম একটি কারণ।
রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা
ইউক্রেনে পুরোদমে সামরিক অভিযান শুরু করার পর ন্যাটো জোটে তুরস্কের মিত্র দেশগুলো যখন রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং এসব দেশ রাশিয়ার ওপর তাদের জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তখন ক্রেমলিনকে পরিত্যাগ করে তাকে একঘরে করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
প্রেসিডেন্ট পুতিন এ কারণে এরদোয়ানকে পছন্দ করতেই পারেন। এছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের ব্যাপারে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছেন। এ বিষয়ে কিছুটা আলোচনাও হয়েছে। জাতিসংঘের উদ্যোগে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ চলাচলের বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে হওয়া এক সমঝোতাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন তুরস্কের। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে শুধু যে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনই এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তা নয়। এই দৌড়ে পিছিয়ে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁও। জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ব্রিটেন, জার্মানি, ন্যাটোর পক্ষ থেকেও এরদোয়ানের বিজয়ে তাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা একসঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখার দিকে তাকিয়ে আছি।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ বলেছেন, ‘ফ্রান্স এবং তুরস্ককে অনেক চ্যালেঞ্জ একসাথে মোকাবেলা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপে শান্তি ফিরিয়ে আনা, ইউরো-আটলান্টিক জোটের ভবিষ্যৎ, ভূমধ্যসাগর। পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আমি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানাই, আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া অব্যাহত রাখবো।’
বিবিসির ইউরোপ বিষয়ক সম্পাদক কাটিয়া এডলার বলছেন, পশ্চিমা নেতারা ক্রেমলিনের সঙ্গে এরদোয়ানের এই ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করেন না, পছন্দ করেন না তার দুই দশকের শাসনামলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খর্ব করার মতো বিষয়গুলোও, কিন্তু তারপরেও তুরস্ক তাদের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, যদিও এই সম্পর্ক অনেক কঠিন।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দেশ তুরস্ক। ন্যাটোর সব অভিযানেই এই দেশটি অংশ নিচ্ছে। কাটিয়া এডলার বলেন, এরদোয়ান হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছেন, কিন্তু একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে তিনি সামরিক সাহায্যও দিয়ে আসছেন।
ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ওপর রাশিয়া যে অবরোধ আরোপ করেছিল সেটা তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এই মধ্যস্থতার কারণে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের জন্য ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল। এই সমঝোতার কারণে এসব দেশে ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও তাদের খাদ্যশস্য রফতানি করতে পারছে।
ন্যাটোর সম্প্রসারণ
ন্যাটো সম্প্রসারণের ব্যাপারেও তুরস্কের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই জোটের সংবিধানে বলা হয়েছে, নতুন কোনো দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে জোটের সকল সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন। কোনো একটি সদস্য দেশ আপত্তি জানালে কাউকে এই জোটের সদস্য করা যাবে না। সম্প্রতি ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়ার যে আবেদন জানিয়েছিল সে বিষয়ে সবার দৃষ্টি ছিল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দিকে।
অনেক দ্বিধা ও সংশয়ের পর শেষ পর্যন্ত তিনি রাশিয়ার প্রতিবেশি দেশ ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন। ফলে ফিনল্যান্ড এখন ন্যাটোর সদস্য। কিন্তু সুইডেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে রয়েছে।
এই সুইডেনও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টেনসন টুইট করে বলেছেন এই দুটো দেশের নিরাপত্তাই তাদের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার। এরদোয়ান সরকারের অভিযোগ যে সুইডেন কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি বা পিকেকের সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছে। তুরস্ক এই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে তুরস্কের অনুমোদনের জন্য হোয়াইট হাউজ প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে প্রভাবিত করার অনেক চেষ্টা করেছে। এই চেষ্টা গোপনে করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো জোট মনে করছে সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য করা হলে রাশিয়াকে মোকাবেলায় বাল্টিক সাগরে সুইডেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
‘নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি’
তুরস্ক যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে পারে সেজন্য এক সময় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান প্রচুর চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তার সেই লক্ষ্য এখনও সফল হয়নি। তবে ইদানিং তিনি ইইউতে যোগদানের ওপর খুব বেশি জোর না দিয়ে বরং তুরস্ককেই আবারও একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলছেন।
বলা যায় যে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুরস্কের জন্যে একটি নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করতে পেরেছেন এবং তিনি সে অনুযায়ীই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন। সহজ করে বললে বলতে হয় যে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার সব মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে গড়ে তুলেছেন লেনদেনের সম্পর্ক। এসব সম্পর্কের পেছনে তিনি তুরস্কের স্বার্থকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
পশ্চিমা দেশগুলো আশা করছে তুরস্কের বিপর্যস্ত অর্থনীতির কারণে তারা হয়তো দেশটিকে চাপের মধ্যে রাখতে পারবে যাতে তারা ন্যাটো জোটে সুইডেনের যোগ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি না জানায়। কারণ আর্থিক অবস্থাকে স্থিতিশীল করার জন্য এরদোয়ানকে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে।
তুরস্ক এবং হাঙ্গেরির ন্যাটোর একমাত্র সদস্য দেশ যারা এখনও এই জোটে সুইডেনের সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা আটকে রেখেছে। হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ওরবানও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইউরোপে অভিবাসন সংকট
অন্যদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে অভিবাসনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি আশা করছেন এই প্রবণতা ঠেকাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট হয়তো যতো দ্রুত সম্ভব কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাদেরকে আশ্বস্ত করতে পারবেন।
২০১৫ সালের অভিবাসন সংকটের সময় ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী, যাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার নাগরিক, মানব-পাচারকারীদের নৌকায় চড়ে ভূমধ্যসাগরের বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। অভিবাসীদের অবৈধভাবে ইউরোপে আসা ঠেকাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও তুরস্কের মধ্যে এর পরপরই একটি সমঝোতা হয়েছে। এই চুক্তি অনুসারে ইউরোপে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের তুর্কি জলসীমায় আটকে দেওয়ার বিনিময়ে তুরস্ককে বিরাট অংকের অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
একই সাথে তুর্কি নাগরিকদের ভিসা ছাড়াই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের রাজনৈতিক বিরোধী ও সমালোচকদের কারাগারে আটকে রাখার কারণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এই সুবিধা দিতে অসম্মতি জানিয়ে আসছে।
তবে তুরস্কের ভেতরে সিরীয় শরণার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তুর্কিরা ক্রমশই অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ছে। এ কারণে নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই এই শরণার্থী ও অভিবাসন সঙ্কট মোকাবেলায় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
তবে এবিষয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তারা মনে করে সিরীয় শরণার্থীদের তুরস্ক থেকে জোর করে সিরিয়ায় ফেরত পাঠানো হলে তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ব্রাসেলস মনে করে এরকম হলে শরণার্থীরা মানব-পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে চলে আসার চেষ্টা করবে।
গ্রিস ও সাইপ্রাস ইস্যু
এর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ গ্রিসের সঙ্গেও তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরোধ তৈরি হয়েছে। এজিয়ান সাগরের বেশ কিছু দ্বীপের মালিকানা নিয়ে এই বিরোধ। পূর্ব ভূমধ্যসাগর এবং এজিয়ান সাগর এলাকায় গ্রিসের এমন বহু দ্বীপ আছে যা তুরস্কের খুব কাছে এবং উপকুল থেকে দেখা যায়। ফলে এখানে কার সমুদ্র-সীমা কোথায় - তা নির্ধারণ এক জটিল ব্যাপার।
অতীতে এ নিয়ে দুটি দেশের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ বেধে যাবার উপক্রমও হয়েছিল। উল্লেখ্য গ্রিস ও তুরস্ক এই দুটো দেশই ন্যাটোর সদস্য। একই সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আরেক সদস্য দেশ সাইপ্রাসও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ওপর চাপ দিয়ে আসছে যাতে তুরস্ক সেখানকার সমস্যার দুই দেশভিত্তিক সমাধানের পথে পদক্ষেপ নেয়।
ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত সাইপ্রাস দ্বীপ-রাষ্ট্রটিও গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে বিভক্ত। ১৯৭৪ সাল থেকে দেশটি বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেসময় দেশটির গ্রিক অধ্যুষিত অংশে অভ্যুত্থান হলে তুরস্ক সাইপ্রাসের উত্তরাঞ্চলের এক তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়। তারপর থেকেই এই সমস্যা নিয়ে বিরোধ চলছে এবং এই সমস্যা সমাধানে ‘দুই রাষ্ট্র (গ্রিক ও তুর্কি) সমাধানের’ কথা বলা হচ্ছে।
এছাড়াও তুরস্কের কৌশলগত গুরুত্বকে পশ্চিমা দেশগুলো ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর তুরস্কের এই অবস্থান বদলে গেছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আরেক মেয়াদের শাসনামলে তার দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে যে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটবে সেই সম্ভাবনা খুব কম। তবে আঙ্কারার কৌশলগত মিত্র দেশগুলো এই সরকারের ওপর যে এবিষয়ে গভীর নজর রাখবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
একে