ইরানকে জায়নবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অভিহিত করেছে হামাস। ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তির আন্দোলনে ইরান অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছে এ ইসলামপন্থী দলটি।
সোমবার গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ও সাবেক ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া এক বার্তায় এ মন্তব্য করেন। তিনি ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানির কাছে ওই বার্তা প্রেরণ করেন।
বিজ্ঞাপন
ওই বার্তায় ইরানকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো বা সার্বিকভাবে জায়নবাদ প্রতিরোধ অক্ষের একটি ইস্পাতকঠিন স্তম্ভ বলে বর্ণনা করেন হানিয়া। তিনি বলেন, ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া মার্কিন আধিপত্যবাদ ও জায়নবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের লড়াই সম্ভব ছিল না।
সম্প্রতি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ইরানের সমর্থনপুষ্ট ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডের ওপর ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়। এতে ওই প্রতিরোধ সংগঠনের অন্তত পাঁচ কমান্ডার নিহত হন।
ইরানি জেনারেলকে লেখা বার্তায় হানিয়া বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েল ভেবেছিল যে তারা আল-কুদস ব্রিগেডের কমান্ডারদের হত্যা করে ফিলিস্তিনি জনগণকে ভয় দেখাতে পারবে। কিন্তু দখলদার সরকার মারাত্মক ভুলের মধ্যে রয়েছে। ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের রক্ত যত বেশি ঝরবে ইসরায়েলবিরোধী সংগ্রাম তত বেশি চাঙ্গা হবে। হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান তার বার্তায় আরও বলেন, ইসরায়েল ভেবেছিল গাজায় হামলা চালিয়ে সে তার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু বাস্তবে ফল উল্টো হয়েছে।
সূত্র : প্রেস টিভি
বিজ্ঞাপন
এমইউ