পবিত্র রমজান মাস চলছে। বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সবকিছুর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। নিত্যদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক বেশি শোচনীয় পাকিস্তানে। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে চার টাকারও কমে (১০ পাকিস্তানি রুপি) ফল বিক্রি করছেন করাচির যুবক মোস্তফা হানিফ।
গত তিন বছর ধরে এই কাজটি করছেন মোস্তফা হানিফ নামের এক ব্যক্তি। পেশায় তিনি ব্যবসায়ীর পাশাপাশি একজন ইউটিউবারও।
করাচির জেল চৌরঙ্গী এলাকায় তার বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে ফলের ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ মানুষের হাতে এই দামে তুলে দিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের ফল।
মোস্তফা বলেন, আমরা প্রতি কেজি ফল দশ পাকিস্তানি রুপিতে বিক্রি করছি। মানুষের আত্মসম্মান রক্ষার পাশাপাশি তাদের কাছে কমমূল্যে ফল সরবরাহ করাই এর উদ্দেশ্য।
শুরুতে লাইনে থাকা লোকদের কাছ থেকে ২০ পাকিস্তানি রুপি নিয়ে তাদের টোকেন দেওয়া হয়। পরে টোকেনধারীদের কাছে ফল সরবরাহ করা হয়। ২০ পাকিস্তানি রুপিতে মেলে দুই কেজি ফল। তার মধ্যে থাকে একটি ছোট তরমুজ, ছয়টি কলা ও তিনটি আপেল।
মোস্তফা বলেন, আমরা প্রথমে ফল ব্যাগে ভরে রেডি করি। তারপর সেই পরিমাণ টোকেন লোকদের দিই। আমার মনে হয় একটি চার-পাঁচ সদস্যের পরিবারে ইফতারে ফলের সালাদ তৈরির জন্য এই ফল যথেষ্ট।
লাইনে থাকা মধ্যবয়স্ক এ ব্যক্তি বলেন, ব্যাগে তরমুজ, কলা ও আপেল থাকে। আমরা কুড়ি রুপিতে এটি কিনতে পারি।
আরেক নারী বলেন, তারা আমাদের অনেক অল্প দামে ফল দিচ্ছে। অন্যখানে তরমুজের দাম ১৫০ রুপি। কিন্তু এখানে ২০ রুপির মধ্যেই সেটা মিলছে। তারা মুরগী ও খেজুরও কম দামে বিক্রি করে। আল্লাহ তাদের ভালো করুন।
আরেক জন বলেন, এখানে জিনিস অনেক সস্তা। অন্য জায়গায় সাধারণ ফলের কেজি ১৫০-২০০ রুপি। গরিবদের জন্য এখানে অনেক সস্তায় জিনিস মিলছে।
মোস্তফা বলেন, আজ আমরা যে পরিমাণ ফল কিনেছি তার দাম এক লাখ ৭৬ হাজার পাকিস্তানি রুপি। গত বছর একই পরিমাণ ফল আমরা ৯০-৯৫ হাজারে কিনতে পারতাম।
দোকানের ফল বিক্রি শুরুর ঘণ্টাখানের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। অনেককে ফিরতে হয় খালি হাতেই।
সূত্র: বিবিসি
একে