শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

দিনে বহুবার দেখেন সূর্যাস্ত, কীভাবে রোজা রাখেন মহাকাশচারীরা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম

শেয়ার করুন:

দিনে বহুবার দেখেন সূর্যাস্ত, কীভাবে রোজা রাখেন মহাকাশচারীরা?
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম মহাকাশচারী হিসেবে মহাশূন্যে যান সুলতান আলনেয়াদি

মুসলিমদের পবিত্র রমজানে রোজা ভাঙা হয় সূর্যাস্ত দেখে। এ সময় সারা দিন পানাহার থেকে বিরত থেকে সন্ধ্যার দিকে রোজা ভাঙেন তারা। এটাই নিয়ম। কিন্তু সূর্যের ঘূর্ণন যদি হঠাৎ বদলে যায়? যখন সূর্যাস্ত হওয়ার কথা, সে সময়ের অনেক আগেই কিংবা পরে যদি সূর্য ডোবে? যেমনটা হয়ে থাকে মহাশূন্যে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নভোচারীদের বেলায়। সেখানে অবস্থান করা ব্যক্তিরা প্রতিদিন ১৬ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখেন।

বর্তমানে অনেক মুসলিম নভোচারী মহাশূন্য ভ্রমণ করছেন। তাদের জন্যও রমজান মাস আসে। যেমন, ৩ মার্চ তারিখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম মহাকাশচারী হিসেবে মহাশূন্যে যান সুলতান আলনেয়াদি। তিনি ছয় মাস মহাশূন্যে থাকবেন, তখন পৃথিবীতে পবিত্র রমজান মাস পালিত হবে। আলনেয়াদি মহাশূন্যে অবস্থানকালে মুসলিমদের প্রধান দু’টি ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-ফিতর ও ঈদুল-আযহা পালন করবেন।


বিজ্ঞাপন


এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, আলনেয়াদি ওই সময় রোজা রাখবেন কীভাবে। ইসলাম ধর্মে এ প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া আছে। আলনেয়াদি বলেন, একজন নভোচারী হিসেবে তাকে 'সফরকারীর' তালিকায় ফেলা যায়। আর সফরকারীদের জন্য রোজা ভাঙার অনুমতি রয়েছে। এছাড়া অসুস্থ বোধ করলে তার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। '

এক সংবাদ সম্মেলনে আলনেয়াদি আরও বলেন, তিনি গ্রিনিচ মান সময় কিংবা কোঅর্ডিনেটেড ইউনিভার্সেল টাইম (যা স্পেস স্টেশনের স্বীকৃত টাইম জোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়) অনুসারে রোজা রাখতে পারেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'রোজা রাখার জন্য রমজান মাস খুব ভালো উপলক্ষ। আর এটা আসলে স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।'

মহাশূন্যে ইসলাম ধর্ম চর্চা ও রোজা রাখার নজির


বিজ্ঞাপন


প্রথম ধর্মপালনকারী (প্র্যাকটিসিং) মুসলিম হিসেবে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ান নভোচারী শেখ মুজাফর শুকুর আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবস্থান করেন। ইসলামিক ন্যাশনাল ফতোয়া কাউন্সিল অব মালয়েশিয়া তার ও ভবিষ্যৎ মুসলিম নভোচারীদের জন্য বিশেষ বিধি-নিষেধ প্রদান করেছে।

মালয়েশিয়ান নভোচারী শেখ মুজাফর শুকুর

মুজাফর রমজানে মহাশূন্যে পাড়ি দিলে ফতোয়া কাউন্সিল বলে যে পৃথিবীতে ফেরার আগপর্যন্ত তিনি রোজা না রাখলেও চলবে। তবে তিনি চাইলে যে জায়গা থেকে যাত্রা শুরু করেছেন সেখানকার টাইম জোন অনুসারে রোজা রাখতে পারবেন। 

এছাড়া কাউন্সিলের পক্ষ থেকে মুজাফরকে বলা হয়, নামাজ পড়ার সময় তাকে হাঁটু গেড়ে না বসলেও চলবে (শূন্য মাধ্যাকর্ষণে এ কাজটি অত্যন্ত কঠিন)। এছাড়া কিবলামুখী হয়ে—অর্থাৎ মক্কার দিকে ফিরে—নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করা হয় মুজাফরের জন্য। এ বিষয়ে তাকে বলা হয়, তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, ততটুকু করলেই হবে।

সূত্র: সিএনএন

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর