সাদ্দামের প্রমোদতরী এখন ভাঙাড়ি, আড্ডা দেন জেলেরা

ইরাকের সাবেক সর্বাধিনায়ক সাদ্দাম হোসেন। একনায়ক নেতার বিলাসবহুল প্রমোদতরী এখন ভাঙাড়িতে পরিণত হয়েছে। পানিতে কিছু অংশ ডুবে যাওয়া এক সময়ের এই বিলাসবহুর জাহাজটিতে এখন স্থানীয় বাসিন্দা আর জেলেরা আড্ডা দেন।
দক্ষিণ ইরাকের শাত-আল-আরব নদীতে ভাসছে জং ধরা সেই প্রমোদতরী। ইরাক ভ্রমণে আসা পর্যটকরা এটি একবার চোখের দেখা দেখে যান।
শখ করে ১৯৮০ সালে ‘আল-মনসুর’ নামের প্রমোদতরীটি তৈরি করান সাদ্দাম হোসেন। ১২১ মিটার দীর্ঘ বিলাসবহুল নৌযানে ছিল ২০০ জন অতিথির থাকার ব্যবস্থা। ভিভিআইপি ইয়টে ছিল হেলিপ্যাডও। যদিও এই প্রমোদতরীতে চড়ার সুযোগ হয়নি সাদ্দামের।
২০০৩ সালে মার্কিন হামলার পর ‘আল-মনসুর’ রক্ষার চেষ্টা হয়। বাসরা শহরের নিরাপদ স্থানে সরানো হয় প্রমোদতরীটিকে। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। মার্কিন গোলায় বিধ্বস্ত হয় সাদ্দামের সাধের ইয়ট। পরবর্তীকালে লুটপাটও চলে। যুক্তরাষ্ট্র সে সময় দাবি করেছিল, প্রমোদতরীতে চড়েই দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছেন ইরাকের নেতা।
বর্তমানে পরিত্যক্ত প্রমোদতরীটি স্থানীয় বাসিন্দা এবং জেলেদের বিশ্রামের জায়গা। কেউ কেউ এর উপর উঠে চা খান। পানির মধ্যে এক টুকরো ধাতব দ্বীপে পিকনিকের মজা নেন অনেকে।
‘রাজা’ এবং ‘রাজত্বের’ অবসান হয়েছে। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে পড়ে আছে এককালের বিলাসবহুল প্রমোদতরী ‘আল-মনসুর’।
সূত্র: ইয়াহু নিউজ
একে