শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কী, কীভাবে কাজ করে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৮ এএম

শেয়ার করুন:

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কী, কীভাবে কাজ করে?

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। যদিও এই পরোয়ানাকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া।

কিন্তু এই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কী, তাদের কাজই বা কী? 


বিজ্ঞাপন


যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা এবং আগ্রাসনের অপরাধ বিচার করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) তৈরি করা হয়েছিল ২০০২ সালে। এটি সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের বা তাদের ভূখণ্ডে অন্য দেশের দ্বারা সংগঠিত অপরাধের বিচার করতে পারে। আইসিসিতে ১২৩ টি রাষ্ট্র রয়েছে।

কোন কোন দেশে সক্রিয় 
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট এই মুহূর্তে ইউক্রেন ছাড়াও, আফ্রিকার উগান্ডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, কেনিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, এশিয়ার মিয়ানমার এবং ফিলিপাইনের মতো ১৭টি দেশে সক্রিয় রয়েছে।

মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা
আইসিসির ওয়েবসাইট অনুসারে এখনও পর্যন্ত আদালতে ৩১টি মামলা হয়েছে। সেখানকার বিচারকরা এখনও পর্যন্ত ৩৮টি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এদের মধ্যে ২১ জনকে আইসিসির ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে এবং আদালতে হাজির করানো হয়েছে। ১৪ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দারফুরে গণহত্যায় অভিযুক্ত সাবেক সুদানী নেতা ওমর আল বশির। আর মৃত্যুজনিত কারণে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। 

সর্বোচ্চ শাস্তি
অন্যদিকে বিচারকরা ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন এবং ৪ জনকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আইসিসির ওয়েবসাইট অনুসারে ইউক্রেন নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল ২০২২ সালের ২ মার্চ। ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ইউক্রেনে সংঘটিত অপরাধের কথা সেখানে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৩ সালে ইউক্রেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচেক বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হলে তিনি ২০১৪ সালে রাশিয়ায় পালিয়ে যান।


বিজ্ঞাপন


যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কারণে যে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, মালি ও উগান্ডার অস্ত্রধারী নেতারা। শান্তি হিসেবে ৯ থেকে ৩০ বছরের জেল আর সর্বোচ্চ শাস্তি হল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

অনেকেই সদস্য নয়
তবে অনেক দেশই এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। রাষ্ট্রসংঘ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বহু দেশ এই আদালতকে সমর্থন করলেও আমেরিকা, চিন এবং রাশিয়ার মতো বহু দেশ এখনও আইসিসির সদস্য নয়।

আইসিসির হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকলেও কোনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে না। আইসিসি যা করতে পারে তা হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভিন্ন দেশের সহায়তায় গ্রেফতার করা এবং গ্রেফতারের পরে তাকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে তার কার্যালয়ে বিচারের জন্য হাজির করা।

আইসিসি বিচারিক ক্ষমতাও শুধু সেসব দেশে প্রয়োগ করতে পারে, যে দেশগুলো এই আদালত গঠন করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তিটি রোম সংবিধি নামে পরিচিত। রাশিয়া এই সংবিধিতে স্বাক্ষর করেনি। তাই পুতিন বা মারিয়া বেলোভাকে আপাতত এই আদালতের হাতে সমর্পণের কোনো সুযোগ নেই।

সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর