শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আইএমএফের ঋণ পাওয়া নিয়ে আরও বিপাকে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩, ০৪:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

আইএমএফের ঋণ পাওয়া নিয়ে আরও বিপাকে পাকিস্তান

দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। জর্জরিত পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল আইএমএফ। কিন্তু সম্প্রতি সেই সাহায্যের ক্ষেত্রে নতুন করে শর্তারোপ করল বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এই নতুন শর্তের জেরে পাকিস্তান ঋণ-চুক্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও সমস্যায় পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছিলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বন্ধু দেশগুলোর থেকে দ্বিপাক্ষিক অর্থায়নের বিষয়ে আশ্বাস প্রয়োজন তাদের। পাকিস্তানের বন্ধু দেশগুলো এর আগে আইএমএফের সঙ্গে ঋণের চুক্তির বিষয়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।


বিজ্ঞাপন


দারের দাবি, আইএমএফ এখন চাইছে, সেই দেশগুলো তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করুক। আইএমএফ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সৌদি আরব কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পাকিস্তানের বন্ধু দেশগুলোর থেকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে লিখিতভাবে আশ্বাস চেয়েছে।

শুধু তাই নয়, আরও ৪টি শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ। তার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা বাজেট এবং সামরিক ব্যয় ১৫% হ্রাস করা এবং দূরপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করা। চীনের ঋণ এবং সিপিইসি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে অডিট করাতে হবে। এছাড়াও বিরোধী দলের নেতাদের থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আশ্বাসও চেয়েছে আইএমএফ।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বৃহস্পতিবার দূরপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরিত্যাগ করার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন যে, পাকিস্তানের কাছে কী পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে তা বলার অধিকার কারও নেই।

এই বিষয়ে ইসহাক দার সংসদকে আশ্বস্ত করেছেন যে সরকার সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করেছে এবং পাকিস্তানের পারমাণবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে কোনও আপস করা হবে না।


বিজ্ঞাপন


দারের বক্তব্যের পরপরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও পরমাণু কর্মসূচি এবং তার নিরাপত্তার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, পাকিস্তানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত এবং কোনও চাপের মধ্যে নেই।

সূত্রের খবর, পরমাণু কর্মসূচি পরিত্যাগ করা ছাড়াও এই মুহূর্তে আইএমএফ বন্ধু দেশগুলো এবং বহুপাক্ষিক ঋণদাতাদের থেকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে ২০০ শতাংশ আশ্বাস চাইছে, যাতে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে বাইরের অ্যাকাউন্টগুলোতে ৬-৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়। সেই ঘাটতি পূরণের জন্য পাকিস্তানের অন্তত ৬ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণের প্রয়োজন।

সূত্র: দ্য ওয়াল

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর