বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানায় কী হবে পুতিনের?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩, ১০:৫০ এএম

শেয়ার করুন:

আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানায় কী হবে পুতিনের?

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এই পরোয়ানাকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসি। রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। খবর সিএনএন এর


বিজ্ঞাপন


নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের একজন বিচারক শুক্রবার (১৭ মার্চ) এই আদেশ দেন।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা এ ব্যাপারে বলেন, ‘রাশিয়া রোম সংবিধির আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সদস্য নয় এবং এর নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য নয়। রাশিয়া এ আদালতকে কোনো সহযোগিতা করে না। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে আসা গ্রেফতারি পরোয়ানা আইনগতভাবে আমাদের কাছে ভিত্তিহীন।’ 

পুতিন ছাড়াও মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। মারিয়া হচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্টের অফিসের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার।

গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে আইসিসি বলেছে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর পুতিন যুদ্ধের আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করেছেন। ইউক্রেনের শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়েছেন। 


বিজ্ঞাপন


পুতিন ও মারিয়া আলেক্সিয়েভনার বিরুদ্ধে ইউক্রেন থেকে শিশুদের জোরপূর্বক নির্বাসিত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দিয়েছে।

আইসিসি শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জোরপূর্বক ইউক্রনের নাগরিকদের (শিশুদের) নিয়ে যাওয়া এবং রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলো থেকে জোরপূর্বক নাগরিকদের (শিশুদের) রাশিয়ার নিয়ে যাওয়ার মতো যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে পুতিনের বিরুদ্ধে।’

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই রয়টার্স জানিয়েছিল, আদালত ইউক্রেন সংঘাতের তদন্তে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) জাতিসংঘের সহযোগিতায় তৈরি করা একটি তদন্তে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে বিস্তৃত মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে রাশিয়া, যার মধ্যে রয়েছে জোরপূর্ব শিশুদের দেশান্তরিত করা। এই প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পরই জারি হলো এই গ্রেফতারি পরোয়ানা। 

এক বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। শুরু থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। যদিও রাশিয়া সেই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

আইসিসির হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকলেও কোনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে না। আইসিসি যা করতে পারে তা হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভিন্ন দেশের সহায়তায় গ্রেফতার করা এবং গ্রেফতারের পরে তাকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে তার কার্যালয়ে বিচারের জন্য হাজির করা।

আইসিসি বিচারিক ক্ষমতাও শুধু সেসব দেশে প্রয়োগ করতে পারে, যে দেশগুলো এই আদালত গঠন করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তিটি রোম সংবিধি নামে পরিচিত। রাশিয়া এই সংবিধিতে স্বাক্ষর করেনি। তাই পুতিন বা মারিয়া বেলোভাকে আপাতত এই আদালতের হাতে সমর্পণের কোনো সুযোগ নেই।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর