বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ৫০শহরের মধ্যে ৩৯টির অবস্থান ভারতে। তবে এরপরেও দেশটি গত বছরের তুলনায় বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে সামান্য ভালো অবস্থানে আছে। আন্তর্জাতিক বায়ুদূষণ নিরীক্ষক সংস্থা আইকিউ এয়ারের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত এবার অষ্টম স্থানে নেমে এসেছে।
বিশ্বের ১৩১টি দেশের বায়ুর গুণমান সূচক পরীক্ষা করে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আইকিউ এয়ার। তাতে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণের নিরিখে বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে আফ্রিকার চাদ। পরে চারটি স্থানে আছে এশিয়ার দেশ ইরাক, পাকিস্তান, বাহরাইন ও বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
আইকিউ এয়ারের জানিয়েছে, ১১৮টি দেশ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’-এর (হু) বেঁধে দেওয়া বায়ুদূষণের মাপকাঠি (প্রতি কিউবিক মিটার বাতাসে অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি পাঁচ মাইক্রোগ্রাম বা তার কম)-এর শর্তগুলো পূরণ করতে পারেনি! মাত্র ছয়টি দেশ হু-এর মাপকাঠি অনুযায়ী বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এস্তোনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জ়িল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, কানাডা এবং আইসল্যান্ড।
ভারতের ‘দূষিততম শহর’ হিসেবে রাজস্থানের ভিওয়ান্ডিকে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, ওই শহরের বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ৯২.৭ মাইক্রোগ্রাম! বায়ুদূষণের নিরিখে ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পাকিস্তানের লাহোরের। সেখানে বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ৯৭.৪ মাইক্রোগ্রাম। লাহোরের পরেই রয়েছে ভিওয়ান্ডি। তারপর দিল্লি। গত এক বছরে ভারতের অবস্থান সামান্য ভাল হলেও এখনও দেশের ৬০ শতাংশ শহরাঞ্চলের বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি হু-র নির্ধারিত মাত্রার অন্তত সাতগুণ বেশি বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
পরিবেশবিদদের একাংশের মতে, শহরে যানবাহনের সংখ্যা, যানজটের বহর, শিল্পক্ষেত্রে শিথিল দূষণবিধি, এমনকি, শহর লাগোয়া গ্রামাঞ্চলের কৃষিক্ষেত্রে খড়বিচালি পোড়ানোর প্রবণতার মতো বিষয়গুলো বায়ুদূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। দূষণ প্রতিরোধে একটি সামগ্রিক, সুনির্দিষ্ট এবং সুসংহত নীতির প্রয়োজন। তাতে নতুন নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট বিধি-নিষেধের পাশাপাশি, প্রয়োজন একটি গণপরিবহণ নীতির। এছাড়া জোর দিতে হবে পরিবেশবান্ধব, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ওপরেও।
সূত্র : এনডিটিভি
বিজ্ঞাপন
এমইউ