বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ভারতে এবারের বাজেটের লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ভারতে এবারের বাজেটের লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

বছর ঘুরলেই ভারতে লোকসভা নির্বাচন। আর সেই ভোটে বড় ভরসা চাকরিজীবী মধ্যবিত্ত। তাদের খুশি করতে পারলে যে ভোটে ভালো করা যায় সেটা পরীক্ষিত সত্য। ২০১৯ সালে সেই সাফল্য দেখেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপি। এবার ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে সেই একই পথে হাঁটতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগের লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে মুখে অন্তর্বর্তী বাজেটে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার ভোটের এক বছর আগেই সেই সীমা বাড়িয়ে সাত লাখ টাকা করা হলো। বিরোধী আসনে থাকার সময় থেকেই আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে সরব হয় বিজেপি। ২০১৪ সালে মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই সেই দাবি তুলেছিলেন প্রয়াত অরুণ জেটলি। পরে তিনি মোদির অর্থমন্ত্রী হন। তবে আগে থেকেই আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন। 

২০১৪ সালে জেটলি তার প্রথম বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করেছিলেন। মোদি সরকার প্রথম বাজেটে পুরস্কৃত করেছিল মধ্যবিত্তকে। কারণ, দেশের মধ্যবিত্তদের বড় অংশের ভোটেই বিজেপি বড় শক্তিতে ক্ষমতায় আসে। সেবার ৮০সি ক্ষেত্রে ছাড়ের পরিমাণও ১.১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১.৫ লাখ টাকা করেছিলেন জেটলি। এরপর বাকি বছরগুলোতে সেভাবে আয়কর কাঠামোয় পরিবর্তন আনেননি জেটলি।


বিজ্ঞাপন


শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রথম মোদি সরকারের শেষ বাজেট পেশ করতে পারেননি জেটলি। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে ভোটের বছরে বাজেট পেশ করেন পীযূষ গয়াল। আর সেখানেই ছিলো মধ্যবিত্তের জন্য বড় চমক। লোকসভা ভোটের আগে জনদরদি ভাবমূর্তি তুলে ধরার সেটাই শেষ সুযোগ ছিলো মোদি সরকারের কাছে। সেই সুযোগের পুরোপুরি ফায়দা তোলে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার। তখন অন্তর্বর্তী বাজেটে ঘুরপথে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড়ের ঘোষণা করেন পীযূষ গয়াল। ঘুরপথে কারণ, আদপে আয়করের যে ঊর্ধ্বসীমা আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ছিলো, তাতে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। কিন্তু ছাড় এমনভাবে বাড়ানো হয় যাতে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো কর দিতে হবে না। সে বার, করযোগ্য আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে কার্যত কোনও সুবিধাই দেওয়া হয়নি। আয়করের ঊর্ধ্বসীমা যে আড়াই লক্ষ টাকা ছিলো, তাতে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।

যদিও তাতে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে অসুবিধা হয়নি বিজেপির। ২০১৪ সালে ২৮২ আসনে জেতা বিজেপি ২০১৯ সালে পায় ৩০৩টি আসন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আয়কর ছাড়ে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীদের সুবিধা দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিলো নির্বাচন। 

সূত্র : এবিপি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর