মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তিকে তিনটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের কেরেলা রাজ্যের একটি আদালত। সোমবার কেরেলার মানজেরি ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালতে মামলাটি উঠলে বিচারক রাজেশ কে ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেন। সঙ্গে সাড়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
ঘটনাটি ২০২১ সালের মার্চের। ভারতীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে বাড়িতে বসেই অনলাইনে ক্লাস করত ১৫ বছরের ওই কিশোরী। বাড়িতে কেউ না থাকায় কিশোরীকে জোর করে বেডরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তার বাবার বিরুদ্ধে। কিশোরী আপত্তি জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল তার বাবা। বাড়িতে যখনই কেউ থাকত না, সেই সুযোগে মেয়েকে ধর্ষণ করত ওই ব্যক্তি। এভাবে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় ওই বাবা।
বিজ্ঞাপন
ওই বছরের নভেম্বরে করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক হলে কিশোরী স্কুলে যাওয়া শুরু করে। কিন্তু স্কুলে তার পেটে যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কী কারণে পেটে ব্যথা হচ্ছিল তা স্পষ্ট হয়নি। এরপর আবার ২০২২-এর জানুয়ারিতে পেটে ব্যথার জন্য কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কিশোরী তার পরিবার এবং চিকিৎসকদের কাছে মুখ খোলে। তিনি বাবার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ তুলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারপরই কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয়। কিশোরী, গর্ভস্থ ভ্রূণ এবং তার বাবা ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা যায়, কিশোরী যে অভিযোগ তুলেছিল, সেটি সঠিক। দ্রুত মামলাটির নিষ্পত্তি এবং অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। সোমবার মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে উঠলে বিচারক তিনটি যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র : এবিপি
এমইউ
