মায়ের প্রেমিকের (লিভ ইন সঙ্গী) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক ভারতীয় কিশোরী। তার অভিযোগ, তিনি নাবালিকা থাকার সময় দিনের পর দিন যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন তার মায়ের সঙ্গীর কাছে। এরপর পকসো মামলায় অভিযুক্তকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালত।
ওই তরুণীর অভিযোগ, ২০১৬ সালে তার বয়স তখন ১৬ বছর। মায়ের সঙ্গে তিনি শিবাজিনগর এলাকায় থাকতেন। সেখানে তাদের সঙ্গে তার ‘সৎ বাবা’ও থাকতে শুরু করেন। নির্যাতিতার দাবি, তিনি যখন পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তেন তখন তার মায়ের লিভ ইন সঙ্গী মাঝেমধ্যে তাকে ধর্ষণ করতেন। এই কথা কাউকে বললে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হতো। এভাবে দিনের পর দিন তার ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চলত বলে দাবি করেন ওই ভারতীয় কিশোরী।
বিজ্ঞাপন
এরপর মেয়ের অভিযোগে সাক্ষ্য দেন মা। তিনি অভিযোগে জানান, দীর্ঘ রোগভোগের পর তার স্বামী মারা যান। এরপর অভিযুক্ত প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তার। লিভ ইন করতে শুরু করেন তারা। মেয়েকে নিয়ে তখন কোনো আপত্তি করেননি ওই অভিযুক্ত প্রেমিক। কিছু দিন পর কাজ ছেড়ে বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন ওই লিভ ইন সঙ্গী। তিনি ক্রমশ মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। অন্যান্য মাদকও নেওয়া শুরু করেন। ওই মার অভিযোগ, এক দিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন যে তার নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর ব্যবহার করছেন ওই লিভ ইন সঙ্গী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়। ওই নারীর দাবি, সঙ্গীকে সাবধানও করেন তিনি।
কিন্তু ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ১৬ বছরের নাবালিকা মেয়ে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে ওই মায়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। মেয়ে মাকে জানায় একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো তার। সে-ই তাকে ‘অত্যাচার’ করেছে। সব শুনে মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান মা। কিন্তু পরে মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন যে এই কাজের জন্য দায়ী তার ‘সৎ বাবা’। প্রাণের ভয়ে মাকে মিথ্যে বলেছে সে। এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মা-মেয়ে।
ডিএনএ রিপোর্ট, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ এবং ৯ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
সূত্র : এবিপি
বিজ্ঞাপন
এমইউ
