মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চীন সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬ এএম

শেয়ার করুন:

চীন সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে ভারত

ভারত-চীন সীমান্তের পরিস্থিতি স্থিতিশীল, কিন্তু অপ্রত্যাশিত। তাই উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেক রক্ষা করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুক্রবার কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের জিওসি এন সি তথা সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাণাপ্রতাপ কলিতা।

সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্বাঞ্চলের সেনা কমান্ডার জানান, যেহেতু উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে চীন ও ভারত সীমান্তবর্তী অনেক অংশেই সীমানা ভালভাবে চিহ্নিত করা নেই, তাই পিএলএ তে  মাঝে মাঝে সংঘর্ষ হয়। খবর সংবাদ প্রতিদিনের


বিজ্ঞাপন


রাণাপ্রতাপ কলিতা বলেন, চীনের সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল তবে অপ্রত্যাশিত। ভারতীয় সেনাবাহিনী শিলিগুড়ি করিডর সম্পর্কে সচেতন। কারণ, এটিই ইসলামপুর থেকে শুরু করে সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারতের মধ্যে সংযোগের জন্য মূল সড়কপথ। এর সংকীর্ণ অংশ ২০ থেকে ২২ কিলোমিটার। ফলে চিকেন নেক রক্ষার্থে যেকোনও মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে ভারত। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও উন্নত হচ্ছে।

ভারতের এই সেনাকর্তা জানিয়েছেন, চীনে পিএলএ সীমান্তবর্তী মডেল গ্রামের উন্নয়ন করেছে। তাই চীনের মোকাবেলা করতে ভারতীয় সেনাবাহিনী লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল পর্যন্ত সীমান্তে গ্রাম তৈরি করছে। এর মধ্যে অরুণাচলেই ১৩০টি জায়গা গ্রাম তৈরির জন্য বাছা হয়েছে। কয়েকটিতে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে সীমান্ত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে। বাহিনীর সীমান্ত পাহারা দেওয়ারও সুবিধা হবে। 

তিনি জানান, এছাড়াও সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে সেনার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে। চীনের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য ভারতীয় সেনা পরিকাঠামোগত উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছে। সীমান্তে যতটা ভাল সম্ভব রাস্তা ও সুড়ঙ্গ নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমের সীমান্ত এলাকায় চীনের মোকাবেলা করতে সেনা কর্মকর্তারা তিব্বতি ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। দু’মাসের কোর্সে তিব্বতের সংস্কৃতি, ইতিহাস, রাজনীতি, ভূগোল সম্পর্কে পড়াশোনা করে সীমান্তবর্তী গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশছেন ভারতীয় সেনারা। পরিদর্শন করছেন তিব্বতী মঠগুলোও। আবার অনেকে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় চীনা ভাষাও শিখছেন বলে জানিয়েছেন এই সেনা কমান্ডার।


বিজ্ঞাপন


একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর