শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ইউক্রেনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ইউক্রেনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে অনেকটা বিপর্যস্ত ইউক্রেন। এমন অবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরপরই দেশটিতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা একের পর এক পদত্যাগ করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন দেশটির উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভায়াচেস্লাভ শাপোভালভও।

মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অফিসের উপ-প্রধান। জেলেনস্কি স্বাক্ষরিত একটি ডিক্রিতে টাইমোশেঙ্কোকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে বলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


তবে তারা কেউ পদত্যাগের কারণ জানাননি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ডেপুটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভায়াচেস্লাভ শাপোভালভের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর খাদ্য ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত একটি কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে।  

ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল ওলেক্সি সিমোনেঙ্কোও পদত্যাগ করেছেন। টাইমোশেঙ্কো ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্টের অফিসে যোগ দিয়েছিলেন। জেলেনস্কির মিডিয়া এবং সৃজনশীল বিষয়বস্তুর কৌশল নিয়ে কাজ করতেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর জেলেনস্কি সরকার, আঞ্চলিক প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপরই ব্যাপক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন জেলেনস্কি।

Kyrylo Tymoshenko
প্রেসিডেন্ট অফিসের উপ-প্রধান টাইমোশেঙ্কো

টাইমোশেঙ্কো গত বছর বিলাসবহুল গাড়ির ব্যক্তিগত ব্যবহার সংক্রান্ত তদন্তের অধীনে ছিলেন। এছাড়াও তিনি গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত ৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের মানবিক সহায়তা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জেলেনস্কি গত রোববার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের তাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। তখন একজন কর্মকর্তাকে বাজেট তহবিল আত্মসাৎকারী নেটওয়ার্কের অংশ হওয়ার জন্য বরখাস্ত করা হয়। ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রণালয় পরে বরখাস্ত করা কর্মকর্তাকে সেখানকার উপমন্ত্রী ভ্যাসিল লোজিনস্কি হিসেবে নিশ্চিত করে।

ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধে ইউক্রেনের ফোকাস তার সরকারকে দুর্নীতি মোকাবেলা করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। 

২০১৯ সালে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে জোরালো মনোভাবের জন্যই ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। এর থেকেই বোঝা যায় রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে হচ্ছে ইউক্রেনকে।

সূত্র: এপি

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর