সুইডেনের বিষয়ে তুরস্কের নতুন আপত্তির পর ফিনল্যান্ড একাই ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। ফিনিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্টোর বলেছেন, ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের জন্য সুইডেনের সঙ্গে যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ফিনল্যান্ডকে পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে।
হ্যাভিস্টো মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন উভয়ের নিরাপত্তা বিবেচনায় একই সঙ্গে ন্যাটোতে যোগদানের প্রাথমিক বিকল্প রয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, 'আমাদের এখন পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে হবে এবং দেখতে হবে যে এমন কিছু ঘটেছে কিনা, যা দীর্ঘমেয়াদে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে সুইডেনকে বাধা দিতে পারে। তাহলে বিকল্প সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।'
নর্ডিক দেশ দুটি গত বছরের মে মাসে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আবেদন করে। তুরস্ক শর্তসাপেক্ষে তাদেরকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সমর্থন দেবে বলে জানায়। সেই শর্তের বিষয়ে ফিনল্যান্ড নিমরাজি হলেও সুইডেন বিষয়টি এড়িয়েই ন্যাটোতে যেতে চায়। এ নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নতুন করে সুইডেনকে সমর্থন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন।
এমন অবস্থায় ন্যাটোতে যোগদানের আবেদনের পর প্রথমবারের মতো ফিনল্যান্ড সুইডেনকে ছাড়াই ন্যাটোতে যাওয়ার ভাবনার বিষয়টি জানাল।
তুরস্ক যদিও এখনও দুই দেশকে ন্যাটোতে যাওয়ার বিষয়ে সমর্থন দেয়নি। তারপরও আগামী জুনে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আঙ্কারা।
বিজ্ঞাপন
এরই মধ্যে তুরস্ক ফিনল্যান্ডের প্রতি তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। কিন্তু সুইডেনের অসহযোগিতামূলক মনোভাবে রুষ্ঠ হয়েছে তুরস্ক।
সম্প্রতি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুর্কি বিরোধী এক বিক্ষোভে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। এটি ঘটিয়েছেন দেশটির উগ্রপন্থী রাজনীতিবিদ পেলুদান। এমন ঘটনায় তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নিন্দা প্রকাশ করেছে।
এমন ঘটনার পর সোমবার এরদোয়ান জানিয়েছেন যে, তারা ন্যাটোতে সুইডেনকে সমর্থন দেবেন না।
৩০টি দেশ ন্যাটোর সদস্য। নতুন করে কোনো দেশ সদস্য হতে চাইলে ৩০ সদস্যরাষ্ট্রের সবারই অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কোনও একটি দেশও যদি অনুমতি না দেয় তাহলে ন্যাটোর সদস্য হওয়া সম্ভব নয়।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আবেদনের পর এই মধ্যে ২৮টি সদস্য রাষ্ট্র তাদের ন্যাটোতে যোগদানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এখনও এটির অনুমোদন দেয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে আসছে।
একে