সম্প্রতি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সব কাজ শেষ হয়েছে। এবার জেসিন্ডার পদত্যাগের কারণ জানালেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস।
নিউজিল্যান্ডের হবু প্রধানমন্ত্রী হিপকিনস বলেছেন যে, জেসিন্ডা আরডার্ন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘৃণ্যতার শিকার হয়েছেন। তাকে অসম্মান করা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ‘ঘৃণ্য আচরণ’ থেকে তিনি তার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবেন। খবর বিবিসির
বিজ্ঞাপন
গত বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সম্প্রতি কয়েক বছরে জেসিন্ডা বেশ কিছু হুমকির সম্মুখীন হন। এক ব্যক্তি ইউটিউবের ভিডিওতে বলেন, রাজনৈতিক প্রতারণার কারণে তার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করার অধিকার রয়েছে।
ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যরা রোববার দলের নেতা হিসেবে ক্রিস হিপকিনসকে বেছে নিয়েছেন। এরপর তিনি সেখানে বক্তব্য দেন।
নিউজিল্যান্ডের হবু প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, নিউজিল্যান্ডবাসীদের ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠী জেসিন্ডাকে অমর্যাদার জন্য দায়ী। ওই গোষ্ঠী নিউজিল্যান্ডবাসীর প্রতিনিধিত্ব করে না।
হিপকিনস আরও বলেন, তিনি বুঝতে পেরেছেন নেতা হওয়ার অর্থ হলো তিনি জনগণের সম্পত্তি। তবে তার পরিবার তা নয়। তিনি চান তার সন্তানেরা যেন নিউজিল্যান্ডবাসীর মতো সাদামাটা জীবন যাপন করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
গত জুনে প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে জেসিন্ডার ওপর আসা হুমকি তিন গুণ বেড়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, বৈধ উপায়ে তাকে আটটি হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে বেশ কয়েকটি বাড়িতে জেসিন্ডাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে হাতে লেখা চিঠি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডের সাবেক গোয়েন্দা কর্মী পল বুচাননান বলেন, আগের প্রধানমন্ত্রীদের তুলনায় জেসিন্ডার বেশি নিরাপত্তা প্রয়োজন। আগামী বুধবার জেসিন্ডা আরডার্ন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করবেন। সেদিনই হিপকিনস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
একে
