শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পদত্যাগের সিদ্ধান্তে কোনো অনুশোচনা নেই: জেসিন্ডা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৬ এএম

শেয়ার করুন:

পদত্যাগের সিদ্ধান্তে কোনো অনুশোচনা নেই: জেসিন্ডা

নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন। তিনি বলেছেন, ‘তিনি দুঃখ থেকে ‘স্বস্তির অনুভূতি’ পর্যন্ত ‘আবেগের পরিসর’ অনুভব করছেন।’

শুক্রবার নেপিয়ারের একটি বিমানবন্দরের বাইরে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। খবর বিবিসির।


বিজ্ঞাপন


২০১৭ সালে ৩৭ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন জেসিন্ডা। ছয় বছর দায়িত্ব পালন করা জেসিন্ডা গতকাল হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার এমন সিদ্ধান্তে সমর্থক এবং সমালোচকদের হতবাক করলেও জ্যাসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের নেতা হিসেবে পদত্যাগের পরিকল্পনা নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই।

৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার আগে জেসিন্ডা তার দলের উত্তরসূরি নির্বাচন করবে।

jacinda-ardern

নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পরবর্তী নেতা নির্বাচনে আগামী রোববার ভোট হবে।


বিজ্ঞাপন


চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেও জেসিন্ডা নির্বাচন পর্যন্ত পার্লামেন্টের সদস্য থাকবেন।

পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি আবার জয় পাবে বলে জেসিন্ডা আশা প্রকাশ করেন।

জেসিন্ডার দলের উত্তরসূরি কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা চললেও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রকাশ্যে সমর্থন করবেন না।

শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেসিন্ডা বলেন, তিনি কিছু ভাষ্যকারদের পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যে তার সিদ্ধান্তে দুর্বৃত্ততার অভিজ্ঞতা একটি ভূমিকা পালন করেছিল।

বিয়াল্লিশ বছর বয়সী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, তার ভবিষ্যতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি সময় নিয়েছেন। প্রচুর চিন্তাভাবনা করেছেন। তিনি আশা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি হয়তো তার প্রাণশক্তি ফিরে পাবেন।

“কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমি সেটা পাইনি এবং আমি যদি আমার কাজ অব্যাহত রাখি তাহলে আমি নিউজিল্যান্ডের ক্ষতি করবো,”বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

মিজ আরডার্ন ৭ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে তার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। লেবার পার্টির এমপিরা যদি এর মধ্যে তার উত্তরসূরি নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে পার্টির সদস্যরা ভোটাভুটির মাধ্যমে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন।

জেসিন্ডা আরডার্ন ২০১৭ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তখন তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নারী সরকার প্রধান। সে সময় তার বয়স ছিলো মাত্র ৩৭ বছর।

দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পরেই এক সন্তানের জন্ম দিয়ে তিনি হন বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি যারা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মা হয়েছেন। এর আগে ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি

এমআর/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর