যে গুরুত্বপূর্ণ কারণে আলজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বিপ্লবী ম্যান্ডেলা

আলজেরিয়ান প্রেসিডেন্ট আবদেলমাদজিদ টেবোউন দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা এবং আলজেরিয়ার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের কথা বলেছেন। আফ্রিকান নেশনস চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য একটি স্টেডিয়ামের নামকরণ করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান যে কেন বিপ্লবী নেলসন ম্যান্ডেলা আলজেরিয়ায় গিয়েছিলেন।

ম্যান্ডেলা ও আলজেরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ঠ যে দেশটিতে ওই মহান বিপ্লবীর নামে একটি নতুন স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হচ্ছে। এটি আলজেরিয়ার রাজধানীতে অবস্থিত। এ স্টেডিয়ামেই হবে আফ্রিকান মহাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। 

রাজধানীর দক্ষিণ শহরতলিতে অবস্থিত নতুন স্টেডিয়ামের উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে প্রেসিডেন্ট আবদেলমাদজিদ টেবোউন একটি স্বল্প পরিচিত তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘১৯৬১ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা আলজেরিয়ান বিপ্লবে যোগ দিয়েছিলেন।’ ওই বিপ্লবের মাধ্যমেই ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সকে আলজেরিয়া থেকে তাড়ানো হয়।

আলজেরিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নেলসন ম্যান্ডেলা আলজেরিয়ার ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির মুজাহিদিনদের দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়েছিলেন। তার সাথীদেরও ওই সময় প্রশিক্ষণ দেয় আলজেরিয়ানরা। তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনকে উৎখাত করার জন্য বিপ্লবের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এরপর ম্যান্ডেলা আলজেরিয়া থেকে দেশে ফেরার পর তাকে গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করা হয়।

আবদেলমাদজিদ টেবোউন বলেন, ‘কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নেলসন ম্যান্ডেলা স্বাধীনতা, মুক্তি এবং ধৈর্যের একটি প্রতীকে পরিণত হন। তাকে সমগ্র বিশ্বের মুক্তিকামীরা ভালোবাসত।’

তিনি বলেন, ম্যান্ডেলা তার প্রথম বিদেশ সফরে আলজেরিয়াতে আসেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, 'আমি আলজেরিয়ান এবং আলজেরিয়া আমার জন্মভূমি। (কারণ আলজেরিয়ানরাই এ বিপ্লবী নেলসন ম্যান্ডেলাকে তৈরি করেছে) এর মানে আমি শরণার্থী নই।