কোনও দেশের সোনার ভান্ডার সেই দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি অর্থনৈতিক সংকটের সময় দেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সোনা বিশেষ সহায়ক হয়ে থাকে। যাদের ভাঁড়ারে যত বেশি সোনা মজুত আছে, সোনার দাম বাড়লে তাদের মুদ্রা ততবেশি শক্তিশালী হয়।
অন্যদিকে যে দেশগুলোর হাতে সোনা কম রয়েছে, সোনার দাম বাড়লে তাদের মুদ্রা দুর্বল হবেই। চলতি বছরের মে মাসে ফোর্বস জানিয়েছিল যে কোন দশ দেশের হাতে সবচেয়ে বেশি সোনা মজুদ রয়েছে। এবার এ বিষয়ে একটি তালিকা টুইট করেছে ওয়ার্ল্ড ইনডেক্স।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্র:
স্বর্ণ মজুদের ক্ষেত্রে অনেক বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দেশটির মোট ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৭ টন স্বর্ণের মজুদ রয়েছে।
জার্মানি:
ইউরোপীয় দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের মজুদ আছে জার্মানিতে। বিশ্বে দ্বিতীয় দেশটির মোট স্বর্ণের মজুদ ৩ হাজার ৩৫৫ দশমিক ১৪ টন। ২০১৭ সালে দেশটি ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ব্যাংক থেকে ৬৭৪ টন স্বর্ণ দেশে ফিরিয়ে এনেছে।
ইতালি:
বহু বছর ধরে একই পরিমাণ স্বর্ণের মজুদ বজায় রেখেছে ইতালি। ওয়ার্ল্ড ইনডেক্সের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা দেশটিতে বর্তমানে তাদের ২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন স্বর্ণের মজুদ রয়েছে। ডলারের দর উত্থান-পতনের বিপরীতে নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখার স্বার্থে মজুদ ধরে রাখার কথা বলে থাকে দেশটি।
ফ্রান্স:
গত কয়েক বছরে কিছু পরিমাণ বিক্রির পরও স্বর্ণ মজুদে চতুর্থ স্থানে আছে ফ্রান্স। বর্তমানে ইউরোপীয় দেশটির স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ মোট ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৫ টন।
বিজ্ঞাপন
— World Index (@theworldindex) December 30, 2022
রাশিয়া:
গত ছয় বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণের ক্রেতা রাশিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক। মোট ২ হাজার ২৯৮ দশমিক ৫৩ টন স্বর্ণের মজুদ নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে দেশটি। ২০১৭ সালে ২২৪ টন স্বর্ণ কেনার কারণে চীনকে টপকে পঞ্চম স্থানে আসতে পেরেছে রাশিয়া।
চীন:
দেশটিতে স্বর্ণের মজুদ আছে ১ হাজার ৯৪৮ দশমিক ৩১ টন। স্বর্ণ মজুদের ক্ষেত্রে পিপলস ব্যাংক অব চায়না ষষ্ঠ অবস্থানে থাকলেও তা দেশটির মোট রিজার্ভের মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর হিসাবে স্বর্ণ রিজার্ভে ব্যাংকটির অবস্থান ১০ম।
সুইজারল্যান্ড:
১ হাজার ৪০ টন স্বর্ণের মজুদ আছে সুইজারল্যান্ডের। মজুদের পরিমাণের বিচারে সপ্তম অবস্থানে থাকলেও মাথাপিছু মজুদের ক্ষেত্রে দেশটি এক নম্বরে আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপের স্বর্ণ বেচাকেনার প্রধান কেন্দ্র ছিল সুইজারল্যান্ড, একই সঙ্গে মিত্রশক্তি ও অক্ষশক্তি উভয়ের লেনদেন ছিল তাদের সঙ্গে।
জাপান:
বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ অর্থনীতির দেশ জাপানে স্বর্ণের মজুদ আছে ৮৪৫ দশমিক ৯৭ টন। ২০১৬ সালে স্বর্ণ রিজার্ভে সুদের হার শূন্যতে নামিয়ে আনে দেশটি, যার ফলে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের আদান-প্রদান বেড়ে যায়।
ভারত:
ভারতীয়দের স্বর্ণের প্রীতি সর্বজনবিদিত। পৃথিবীতে স্বর্ণের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোক্তাও দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। বর্তমানে ৭৬৮ দশমিক ৮০ টন স্বর্ণের মজুদ আছে ভারতের।
নেদারল্যান্ডস:
দেশটির প্রধান ব্যাংকে মজুদ আছে ৬১২ দশমিক ৪৫ টন স্বর্ণ। সম্প্রতি ব্যাংকটি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এনেছে।
একে