শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ট্রাম্পের ৪০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৩৮ এএম

শেয়ার করুন:

ট্রাম্পের ৪০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প- ফাইল ফটো

ঘোর অন্ধকারে পড়তে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার। এছাড়া হাজার হাজার ডলার জরিমানা হতে পারে। এছাড়া আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার অংশগ্রহণের বিষয়টিও বাতিল হতে পারে।

২০২০ ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার জন্য নির্ধারিত হাউস সিলেক্ট কমিটির নয় সদস্য কমিটি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগের সুপারিশ করেছে। এগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে দীর্ঘ কারাবাস করতে হতে পারে ট্রাম্পের। 


বিজ্ঞাপন


কমিটির সুপারিশ করা চারটি অভিযোগ হলো- অফিসিয়াল কার্যক্রমে বাধা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র, মিথ্যা বিবৃতি তৈরি করার ষড়যন্ত্র এবং বিদ্রোহে উসকানি দেওয়া বা সাহায্য করা।

তবে কমিটির এই সুপারিশ আইনত বাধ্যতামূলক নয়। সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হবে কিনা তা বিচার বিভাগের উপর নির্ভর করবে। বিভাগ সুপারিশ অনুসরণ করতে বাধ্য নয়।

এ নিয়ে এখন বিচার বিভাগের দিকে সবার চোখ। বিভাগের একজন মুখপাত্র সিবিএসকে বলেছেন যে, কমিটির পদক্ষেপ নিয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই। এটি সুপারিশগুলো অনুসরণ করবে কিনা তা দেখার বিষয়।

এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এখনও আসতে বাকি। কমিটি অনুমোদনের জন্য সর্বসম্মত ভোটে তার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশিত হয় সোমবার। এটি ২০২০ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য ট্রাম্পকে 'মাল্টি-পার্ট ষড়যন্ত্র' বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হতে পারে।


বিজ্ঞাপন


সারসংক্ষেপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, প্রতিটি অভিযোগের বিষয়ে একাধিক চার্জ হতে পারে। সাত ডেমোক্র্যাট এবং দুই রিপাবলিকান এই কমিটির সদস্য। তারা ১৭ মাসের তদন্তের পর নাটকীয় চূড়ান্ত উপসংহারে পৌঁছেছে। 

capitol riot

প্যানেলের সদস্য রেপ. জেমি রাসকিন ঘোষণা করেছেন যে, 'কমিটি বিশ্বাস করে যে ক্যাপিটলে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সহিংস হামলা চালিয়েছিল তাদের সহায়তা বা উসকানি দেওয়ার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্যাপ্তের চেয়ে বেশি প্রমাণ রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'কমিটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ যোগাড় করেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংবিধানের অধীনে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরকে ব্যাহত করতে চেয়েছিলেন।'

তবে ট্রাম্প এ নিয়ে কোনো অপরাধ করার বিষয়টি বারবার অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করে আসছেন যে, ভোটে জালিয়াতির কারণে ২০২০ সালের নির্বাচনে হারতে হয়েছে তাকে। তিনি এই কমিটির কাজেরও সমালোচনা করেছেন এবং সদস্যদের 'রাজনৈতিক প্রতারক' বলে উল্লেখ করেছেন।

সোমবার সারসংক্ষেপ প্রকাশের পর ট্রাম্প দাবি করেন যে, তিনি ডেমোক্র্যাটদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। কারণ তিনি আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন।

নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, 'লোকেরা বুঝতে পেরেছে যে ডেমোক্রেটিক ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (ডিবিআই) আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত রাখতে চেয়েছে। কারণ তারা জানে যে আমি জিতব এবং আমার বিরুদ্ধে মামলা করার এই পুরো ব্যবসাটি ইমপিচমেন্টের মতোই ছিল। এটি আমাকে এবং রিপাবলিকান পার্টিকে সাইডলাইন করার একটি পক্ষপাতমূলক প্রচেষ্টা।'

ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, '৬ জানুয়ারি এর বিষয়ে অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট অনির্বাচিত কমিটি দ্বারা তৈরি করা জাল অভিযোগগুলো ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া হয়েছে।'

বিচার বিভাগ বা বিশেষ পরামর্শদাতা জ্যাক স্মিথ ট্রাম্প-সম্পর্কিত তদন্তের তত্ত্বাবধান করছেন। তারা অভিযোগ গ্রহণ করবেন বা সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

স্মিথ গত মাসে বলেছিলেন যে তিনি তার কাজের ক্ষেত্রে বিভাগীয় পদ্ধতি অনুসরণ করবেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'আমি স্বাধীন বিচার করব। তদন্ত দ্রুত এগিয়ে যাবে 'তথ্য ও আইন যা নির্দেশ দেয়' সেভাবে।

সূত্র: বিবিসি ও ডেইলি মেইল

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর