বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

পর্যটকদের দিকে তাকিয়ে লেবানন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

পর্যটকদের দিকে তাকিয়ে লেবানন

কয়েকবছর ধরে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে লেবানন। স্থীতিশিল ও ঐক্যমতের সরকার পুরোপুরি গঠন না হওয়ায় বিদেশি ঋণও পাচ্ছে না দেশটি। এমন অবস্থায় আগামী বছর কয়েক লাখ পর্যটকের মাধ্যমে অর্থ আয়ের কথা ভাবছে দেশটি।

সোমবার লেবাননের পর্যটন প্রধানরা বলেছেন যে, আগামী দিনে তারা ৭ লাখের বেশি পর্যটক পাওয়ার আশা করছে। তারা জানিয়েছেন যে, এর মাধ্যমে অন্তত ১.৫ বিলিয়ন ডলার নগদ পাওয়া সম্ভব হবে।


বিজ্ঞাপন


আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ছুটির মৌসুম খুব শিগগিরই শুরু হবে। হোটেল মালিকরা বুকিং বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যার পরও দেশটি পর্যটক টানতে নানা আয়োজন করছে।

আশা করা হচ্ছে যে, বিদেশি পর্যটকে ভরে উঠবে লেবাননের বৈরুত ও উপকূলীয় রিসোর্টগুলো। তাদের আকর্ষণের জন্য আলংকারিক লাইট এবং গাছ, ঐতিহ্যবাহী বাজার, সঙ্গীত উত্সব এবং অন্যান্য জনপ্রিয় অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

lebanon

সোমবার লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভাও কিছুটা উল্লসিত ছিল। এদিন ডায়ালাইসিস এবং ক্যান্সার রোগীদের ওষুধ, শিশুদের জন্য দুধ, এবং সামরিক এবং পেনশনভোগীদের জন্য আর্থিক সহায়তা কিনতে ৩৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ গ্রহণ করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


বিজ্ঞাপন


তবে দেশটিতে শান্তি স্থাপনের পক্ষের মন্ত্রীরা লেবাননে অব্যাহত রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে বৈঠকটি বয়কট করেন।

অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, ক্যান্সার এবং ডায়ালাইসিস রোগীদের সাহায্য করার জন্য আমরা আর অর্থ ব্যয় করতে পারি না। তারা (এফপিএম) কি চায় আমরা একটি যৌথ অপরাধ করি? যদি তারা এটিই জিজ্ঞাসা করে, তবে আমরা আমাদের দায়িত্ব গ্রহণ করব না এবং প্রত্যেককে তাদের কর্মের পরিণতি অনুমান করতে দেব। যদি তারা চায় দেশ সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যাক, আমি রোগী হত্যার অপরাধে অবদান রাখব না।'

বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, পর্যটকদের থেকে পাওয়া রাজস্ব কেবলমাত্র দেশের অসুস্থ অর্থনীতির জন্য ব্যথানাশক হিসাবে কাজ করবে। রাজনৈতিক অগ্রগতি না হলে এটি থেকে মুক্তি মিলবে না।

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে আলংকারিক স্ট্রিটলাইটগুলো জেগে উঠেছে। খাবার, পানীয়, খেলনা, বই এবং ফুল বিক্রি নির্দেশ করে যে হাজার হাজার দর্শনার্থী বাজারে আসছে।

lebanon

বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবৌদ বলেন, শহরটিতে দর্শনার্থীদের জন্য অনেক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছে।

রাফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে অনেক লেবানিজ প্রবাসী, বিশেষ করে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে তাদের পরিবারের সঙ্গে উৎসবের সময় কাটানোর জন্য ফিরে আসছেন।

বিমানবন্দরটি কাতার বিশ্বকাপে যাওয়া ফুটবল ভক্তদের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে কাজ করছে। এ সময় ফুটবল ভক্তদের লেবাননে থাকার জন্য বেছে নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্টের সভাপতি জিন আবৌদ বলেন, ১০ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্লাইটগুলো সম্পূর্ণ বুক হয়ে গেছে। জর্ডান, মিশর এবং ইরাক থেকে আরব পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বুকিং বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।

লেবাননের পর্যটন মন্ত্রণালয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে আগামী দিনে প্রায় ৭ লাখ পর্যটক দেশে আসবে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর