শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

হেঁটে বুর্জ খলিফার চূড়ায় উঠলেন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৩৪ এএম

শেয়ার করুন:

হেঁটে বুর্জ খলিফার চূড়ায় উঠলেন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স (ভিডিও)

শারীরিক কসরত দেখাতে ভালোবাসেন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মাদ আল মাকতুম। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সিঁড়ি বেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার চূড়ায় ওঠেন তিনি। 

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি ১৬০ তলা। এতে ২৯০৯টি সিঁড়ি রয়েছে। এক ভার্টিক্যাল (ঊর্ধ্বাধ) ম্যারাথনে অংশ নিয়ে তিনি এমন কাজ করেছেন। এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে গালফ নিউজ।


বিজ্ঞাপন


সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন শেখ হামদান নিজেই। ইনস্টাগ্রামে ‘বুর্জ খলিফা চ্যালেঞ্জ’  নামের ভিডিওতে দেখা যায় যে, দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স দলের অন্য সদস্যদের নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং নিজের টাইমার ঠিক করে নিচ্ছেন।

ভিডিওর শেষে দেখা যায়, দল নিয়ে বুর্জ খলিফার চূড়ায় অবজারভেশন ডেকের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স। টাইমারে দেখা যায় যে, তার সময় লেগেছে ৩৭ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড। এই সময়ে তার ক্যালরি ঝরেছে ৭১০।

চূড়ায় ওঠার পর ১৬০ তলা লেখা সাইনের সামনে সেলফি তোলে শেখ হামদান। এটি ভবনের এমন জায়গা যেখানে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। ভবনটির ১৪৮ তলায় করা নতুন অবজারভেশন ডেক পর্যন্ত জনসাধারণ যেতে পারে। 

দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতেও ভালোবাসেন। প্রায়ই স্কাই ডাইভিং, প্যারামোটর গ্লাইডিং ও পাহাড়ে চড়ার মতো কাজ করতে দেখা যায় তাকে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে ২০২০ সালে বুর্জ আল খলিফার একদম উঁচুতে ওঠে একটি ভিডিও করেছিলেন প্রিন্স শেখ হামদান। সেবার অবশ্য হেঁটে বা দৌড়ে ওঠেননি তিনি।

 
 
 
 
 

কে এই ক্রাউন প্রিন্স
শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ১৯৮২ সালের ১৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার ছদ্মনাম ফাজ্জা এই নামে তিনি তার স্বলিখিত কবিতা প্রকাশ করেন। এ নামের অর্থ 'যিনি সহায়তা করেন'।

হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এবং শেখ হিন্দ বিনতে মাক্তুম বিন জুমা আল মাক্তুমের পুত্র। তিনি তাদের ১২ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। হামদানের আপন মাত্র্যেয় বড় ভাই হলেন শেখ রশিদ বিন মোহাম্মদ।

হামদান বিন মোহাম্মদ আল মাকতুম দুবাইয়ে রশিদ স্কুল ফর বয়েজ এবং পরে দুবাই স্কুল অফ গভর্নমেন্টে পড়াশোনা করেছিলেন। তারপর তিনি যুক্তরাজ্যে উচ্চতর পড়াশোনা চালিয়ে যান। সেখানে তিনি ২০০১ সালে রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। পরে তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে লেখাপড়া করেন।

হামদান ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুবাই এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ লাভ করেন। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে তিনি দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে অভিষিক্ত হন। ২০০৯ এর জুলাইয়ে তিনি হামদান বিন মোহাম্মদ স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হন। পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিলো হামদান বিন মোহাম্মদ ই-বিশ্ববিদ্যালয়।

এছাড়াও তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তৈরী প্রতিষ্ঠান শেখ শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ ইসট্যাবলিশমেন্ট, দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিল এবং দুবাই অটিজম সেন্টারের প্রধান।

দুবাই যখন ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০ অনুষ্ঠান আয়োজনের অধিকার লাভ করে, তখন শেখ হামদান ছিলেন সেই প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য। তিনি ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০ এর জয়ের কয়েকদিন পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকা বুর্জ খলিফার শীর্ষ তলায় নিয়ে যান এবং উড়ান। তিনি হামদান ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা, যা ২০১১ সালে চালু হয়েছিল।

২৫ জুন ২০২১ পর্যন্ত শেখ হামদানের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১১.৯ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। তিনি সেখানে তার শখের বিষয় সম্পর্কিত ছবি পোস্ট করে থাকেন। যেমন- প্রাণী, কবিতা, খেলাধুলা, ফটোগ্রাফি, অ্যাডভেঞ্চার, ভ্রমণ ইত্যাদি।

১৫ মে, ২০১৯ সালে তিনি শেখ বিনতে সাঈদ বিন থানি আল মাকতুমকে বিয়ে করেন। ২০ মে, ২০২১ সালে এই দম্পতির ঘরে আসে দুটি জমজ সন্তান। তাদের নাম রাশিদ বিন হামদান আল মাকতুম এবং শাইখা বিনতে হামদান আল মাকতুম।

হামদান আল মাকতুম একজন লাইসেন্সধারী এবং ভালো অশ্বারোহী, স্কাই ডাইভার এবং একজন দক্ষ স্কুবা ডুবুরি। তিনি ফুজাইরাহতে (সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি রাজ্য) ডাইভ করেছেন। আরবি ভাষায় রোমান্টিক এবং দেশাত্মবোধক কবিতার জন্য তিনি বেশ পরিচিত। তিনি রয়েল অ্যাসকোটেরও সদস্য।

শেখ হামদান নরম্যান্ডিতে (এফআরএ) অলটেক এফআইআই ওয়ার্ল্ড ইকুয়েস্ট্রি গেমস ২০১৪-তে স্বর্ণপদক, ২০১২ সালে দলীয় স্বর্ণপদক এবং ২০১০ সালে একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর