আদমশুমারি থেকে প্রকাশিত নতুন তথ্য অনুসারে জানা গেছে যে গত এক দশকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মুসলিম জনসংখ্যা ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের আদমশুমারি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সেখানকার অফিস অফ ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা গেছে যে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে মুসলিম হিসেবে চিহ্নিত লোকের সংখ্যা ২০১১ সালে ২৭ লাখ ছিলো, যা ছিলো মোট জনসংখ্যার ৪.৯ শতাংশ। কিন্তু, এখন ওই অঞ্চলগুলোতে মুসলিমদের সংখ্যা হলো ৩৯ লাখ। এখন মুসলসানরা সেখানকার মোট জনসংখ্যার ৬.৫ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
তবে পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গেছে যে মুসলিমদের বেশিরভাগই (৬১ শতাংশ) উভয় অঞ্চলের দরিদ্র এলাকায় বাস করে। এছাড়া মুসলিমদের চার শতাংশ লোক ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ধনী এলাকায় বাস করে। এছাড়া এখানকার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী হলো এশিয়ান। তারা এশিয়ান ব্রিটিশ বা ওয়েলসের এশিয়ান নাগরিক। এরা মোট জনসংখ্যার ৯.৩ শতাংশ।
গত আদমশুমারি অনুসারে, পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটে সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করে। এখানে তাদের জনসংখ্যা ১.৯ শতাংশ বেড়েছে। তারা স্থানীয় জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ।
— Dr Yusuf Shabbir (@ibn_shabbir) November 29, 2022
আদমশুমারির তথ্যগুলো থেকে জানা গেছে, এসব অঞ্চলে খ্রিস্টধর্মের জনসংখ্যা কমছে। প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে খুব কম লোক নিজেদেরকে খ্রিস্টান হিসেবে দাবি করেছে। বর্তমানে সেখানকার ৪৬.২ শতাংশ লোক নিজেদের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বলে দাবি করেছে। অথচ আগের আদমশুমারিতে ৫৯.৩ শতাংশ লোক নিজেদের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বলে দাবি করেছিল।
বিজ্ঞাপন
ইতোমধ্যে সেখানকার ৩৭.২ শতাংশ (২ কোটি ২২লাখ) মানুষ ঘোষণা করেছে যে তাদের কোনো ধর্ম নেই। এবার তাদের সংখ্যা বেড়েছে। যেখানে ২০১১ সালে তাদের সংখ্যা ছিলো মোট জনসংখ্যার ২৫.২ শতাংশ।
এ বিষয়ে ‘দ্যা গার্ডিয়ান’-কে ইয়র্কের আর্চবিশপ স্টিফেন কটরেল বলেন, আদমশুমারির এ তথ্যগুলো আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। এসব তথ্য আমাদের বলছে যে এটা শুধু বিশ্বাস করলে হবে না যে ঈশ্বর পৃথিবীতে তার রাজ্য গড়ে তুলবেন। মূলত, খ্রিস্টকে পরিচিত করতে আমাদেরও ভূমিকা পালন করতে হবে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
এমইউ