বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি হওয়ার দৃঢ়তা প্রকাশ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তিনি বলেছেন, তার দেশ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি অর্জন করতে চায়।
রোববার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সম্প্রতি কিম জং উন একটি নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সঙ্গে জড়িত কয়েক ডজন সামরিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
গত ১৮ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার বৃহত্তম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) Hwasong-17-এর পরীক্ষা পরিদর্শন করেন কিম। সে সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক হুমকিও দেন। এর প্রায় দশদিন পর এমন ঘোষণা দিলেন বিশ্বের আলোচিত এই নেতা।
কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার আদেশে কিম বলেন, উত্তর কোরিয়ার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত শক্তির অধিকারী হওয়া। এই শতাব্দীতে এটি নজিরবিহীন পরম শক্তি। পারমাণবিক সক্ষমতা তৈরি করা নির্ভরযোগ্যভাবে দেশের এবং জনগণের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
তিনি Hwasong-17 কে 'বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র' হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করার জন্য উত্তর কোরিয়ার সংকল্প এবং ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
বিজ্ঞাপন
কিম বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক ওয়ারহেড স্থাপন করার প্রযুক্তির বিকাশে উল্লেখযোগ্য মাত্রা অর্জন করেছেণ। আশা করা হচ্ছে, তারা অসাধারণ দ্রুত গতিতে দেশের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করবে।
এসময় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় জড়িত বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন কিম।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে যে, কর্মীরা কিমের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া কিমের নির্দেশিত পথেই এসব ক্ষেপণাস্ত্র উড়বে বলে জানান তারা।
একে