শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘দানবীয় কচ্ছপ শহর’ ভাসবে সাগরে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ০৭:০৩ এএম

শেয়ার করুন:

‘দানবীয় কচ্ছপ শহর’ ভাসবে সাগরে!

বিশাল দানবীয় ভাসমান শহর নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন একদল ডিজাইনার। সামুদ্রিক কচ্ছপ আকৃতির এই ভাসমান শহরের নাম রাখা হয়েছে ‘প্যাঞ্জিওস’। এটি নির্মাণ হলে বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজের তকমা পাবে।

এই বিশাল দানবের ডিজাইন করেছেন ইতালির কোম্পানি ‘লাজ্জারিনি’র ডিজাইনাররা। কল্পিত এই শহরের ডিজাইন এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছে।


বিজ্ঞাপন


সুপারকন্টিনেন্ট ‘প্যাঞ্জিয়া’র ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা ভূখণ্ডের ওপরই গড়ে উঠেছে আজকের মানব সভ্যতা।  ২০ থেকে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে অস্তিত্ব ছিল এই সুপারকন্টিনেন্টের। সেই সুপারকন্টিনেন্টের নামেই নতুন এই ভাসমান শহরের নামকরণ করা হয়েছে।

ভূপৃষ্ঠের ওপরের স্তরের টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ায় প্যাঞ্জিয়া ভেঙ্গেই সাত মহাদেশের উৎপত্তি। হালের এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপসহ মহাদেশীয় ভূখণ্ডের সবগুলোই ছিল প্যাঞ্জিয়ার অংশ। 

লাজ্জারিনির ডিজাইনার দানবীয় ভাসমান শহর এবং বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন। ৮০০ কোটি ডলার খরচ করেই জাহাজটি নির্মাণ সম্ভব বলে জানিয়েছেন তারা।

লাজ্জারিনি জানিয়েছে যে, বিলাসবহুল ইয়টের দৈর্ঘ্য হবে ৫৫০ মিটার বা ১ হাজার ৮০০ ফুট এবং প্রস্থ হবে ৬১০ মিটার বা ২ হাজার ফুট।   


বিজ্ঞাপন


এতে থাকবে হোটেল, শপিং মল, পার্ক। ছোট জাহাজের জন্য ঘাট এবং হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকবে বলেও জানিয়েছেন ডিজাইনাররা।

প্যাঞ্জিওসের নির্মাণস্থল হিসেবে সৌদি আরবকে বিবেচনায় রেখেছেন এর নকশাকারীরা। জাহাজটি নির্মাণের জন্য প্রথমে অন্তত এক বর্গ কিলোমিটার সাগর সেঁচে একটি গোলাকার বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এর সম্ভাব্য অবস্থান হিসেবে জেদ্দা থেকে ৮১ মাইল উত্তরে অবস্থিত কিং আবদুল্লাহ জাহাজঘাটের একটি অংশ চিহ্নিত করেছেন তারা।

স্থলের আর দশটি শহরের মতো ছোট ছোট ব্লকে ভাগ করা থাকবে প্যাঞ্জিওস। জাহাজের ওপরের অংশে থাকবে বাগান আর উড়ুক্কু যান অবতরণের জায়গা।  যাত্রী ও ক্রুদের থাকার জায়গার নিচেই থাকবে ৩০ হাজার সেল; যা পুরো কাঠামোকে ভাসিয়ে রাখবে। আর জাহাজের বেইজমেন্ট নির্মাণে ব্যবহার করা হবে স্টিল। সর্বোচ্চ ৫ নট গতিতে ছুটতে পারবে জাহাজটি। 

পুরো জাহাজের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবে ছাদে বসানো সোলার প্যানেল। প্যাঞ্জিওসের নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য থাকবে না বলে জানা গেছে।

২০৩৩ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে লাজ্জারিনি; নির্মাণ কাজ শেষ করতে সময় লাগবে আট বছর। সেই হিসেবে ২০৪১ সালে দেখা মিলতে পারে এই দানবের।

তবে এখনই প্যাঞ্জিওস ঘুরে দেখার সুযোগ আছে প্রযুক্তি ভক্তদের। চলমান ক্রাউডফান্ডিং উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১৬ ডলার খরচ করে একটি ভার্চুয়াল টিকেট কিনে ভার্চুয়াল প্যাঞ্জিওস ঘুরে দেখতে পারবেন যে কেউ। এছাড়া ১৬৯ ডলার দিয়ে ঘোরা যাবে ভিআইপি অ্যাপার্টমেন্টে।

সূত্র: সিএনএন

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর