দৈনিক তেল উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর ঘোষণা দিয়েছে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর আন্তঃসরকারি সংস্থা ওপেক প্লাস। এর একদিন পরই বেড়ে গিয়েছে তেলের দাম।
যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও অপরিশোধিত তেল উৎপাদন দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক প্লাস। বুধবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জোটের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এই সিদ্ধান্তের পরই বৃহস্পতিবার জিএমটি- ০৫৩৮ সময় অনুযায়ী (বাংলাদেশ সময় সাড়ে এগারোটা) তেলের দাম ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ১.৭ শতাংশ বেড়েছে। ব্যারেলপ্রতি ৪ সেন্ট বেড়ে এর দাম হয়েছে ৯৩.৪১ ডলার।
ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) নভেম্বর ডেলিভারির জন্য অপরিশোধিত ফিউচার ব্যারেল প্রতি ২ সেন্ট বেড়ে ৮৭.৭৮ ডলার হয়েছে। এটি বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৪ শতাংশ।
ওপেকের ডি-ফ্যাক্টো নেতা সৌদি আরব বলেছে যে, পশ্চিমে ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল সরবরাহ কমানোর প্রয়োজন। এটি বিশ্বের প্রতিদিনের সরবরাহের ২ শতাংশের সমান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন চুক্তিটিকে 'অদূরদর্শী' বলে সমালোচনা করেছে। হোয়াইট হাউস বলেছে যে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মূল্য কমাতে আরও কৌশলগত তেলের মজুদ ছেড়ে দেবেন কিনা তার মূল্যায়ন চালিয়ে যাবেন।
বিজ্ঞাপন
তেলের বাজারে নিজেদের আধিপত্য ও দাম ধরে রাখতে ওপেক প্লাস এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, তেল উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপ তেলের বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দেবে, যার প্রভাব পড়বে দামে। যা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
একে