সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কারে অমরত্ব পাবে মানুষ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০২২, ০১:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কারে অমরত্ব পাবে মানুষ!
মানুষের ‘অমরত্ব’ লাভের আদি বাসনা পূরণ হতে পারে শীঘ্রই

মানুষের অমর হওয়ার বাসনা অনেক পুরানো। বিভিন্ন ধর্মে ‘আবে হায়াত’ বা ‘অমৃত’ নিয়ে অনেক কথা রয়েছে। রয়েছে অমর হওয়ার বাসনা নিয়ে নানান সংঘাত ও দ্বন্দ্বের কাহিনি। এবার এ ‘অমরত্ব’ মানুষের হাতের মুঠোয় আসতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সাম্প্রতিক এক আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মানুষের ‘অমরত্ব’ লাভের আদি বাসনা পূরণ হতে পারে শীঘ্রই। এ ‘অমরত্ব’ লাভের চাবিকাঠি নাকি ‘লবস্টার।’ এ লবস্টারকে আমরা গলদা চিংড়ি জাতীয় প্রাণী হিসেবে জানি। এটাই নাকি মানুষকে ‘অমরত্ব’ দিবে।


বিজ্ঞাপন


বলা হয়ে থাকে যে পৃথিবীর সব প্রজাতির প্রাণীর মতোই মানুষেরও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত শরীরের বিকাশ ঘটে। শরীরের যাবতীয় ক্ষয়-ক্ষতি তারা নিজে থেকেই মেরামত করতে পারে। কিন্তু, তারপর থেকে মানবদেহ ধীরে ধীরে এ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ক্রমশ অকেজো হয়ে পড়ে শরীর নামক যন্ত্রটি। লবস্টার বা গলদা চিংড়িরা এমন নিয়মের ব্যতিক্রম। তারা এমনিতেই দীর্ঘজীবী। বার্ধক্যজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয় না। তারা মরে হয় মানুষ বা অন্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবে, অথবা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খোলস প্রতিস্থাপন করার সময়ে শারীরবৃত্তীয় কারণে। লবস্টারের এ অবিশ্বাস্য দীর্ঘ জীবনের রহস্য হলো এক ধরনের উৎসেচক। এর নাম টেলোমারেজ এনজাইম।

কোনো কোষের মৃত্যুর আগে বা তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার আগে কোষ বিভাজনের সংখ্যা বাড়ায় এ টেলোমারেজ। এমন ঈপ্সিত এনজাইমটি লবস্টারের দেহের কোষে আছে। মানবদেহের অল্প কিছু কোষে সক্রিয় টেলোমারেজ থাকে অবশ্য। বিশেষ করে স্টেম সেলে। এ কারণেই স্টেম সেল দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের মেরামত করতে পারে। ফলে এদের জীবনকাল বেশি হয়। কিন্তু, মানবদেহের অন্যান্য কোষের জীবনকাল অনেক কম, যেহেতু সেখানে টেলোমারেজ থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করা হয়, মানুষও দীর্ঘ জীবনের অধিকারী হতো যদি তার দেহে টেলোমারেজ ধারণকারী কোষের সংখ্যা বেশি হতো। আর ওই সূত্র ধরে বিজ্ঞানীরা এখন কীভাবে মানবদেহে টেলোমারেজ ধারণকারী কোষের সংখ্যা বাড়ানো যায়, তার উপায় খুঁজছেন।

সমস্যা হলো যে টেলোমারেজের সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক রয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ল্যাবরেটরি ফর এজিং রিসার্চের প্রধান ড. লিন্ডসে উ বলেছেন, এ কৌশলের সব থেকে বড় ঝুঁকি, টেলোমারেজ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক কোষে তৈরি হয় না। তবে প্রায়শই ক্যানসার কোষে টেলোমারেজ তৈরি হয়। আর এ এনজাইম ক্যানসারকে অমর করে তোলে। কাজেই লবস্টার বা গলদা চিংড়ির মতো দীর্ঘ জীবন বা অমরত্ব পেতে টেলোমারেজ ব্যবহার করার আগে, ক্যানসারের সঙ্গে এ এনজাইমের সম্পর্ককে আরও ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে বিজ্ঞানীদের। আর যখন সেটিকে নেতিবাচক ক্রিয়া থেকে বের করে ইতিবাচক কাজে টেনে আনা যাবে, একমাত্র তখনই এটাকে দিয়ে বিজ্ঞানীরা মানুষকে অমর করার উপায় সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে পারবেন তার আগে নয়!

তা হলেও এমনটা ঘটলে কত দিন বাঁচতে পারবে মানুষ? বিজ্ঞানীরা বলছেন, মোটামুটি ১৪০ বছর বাঁচতে পারবে মানুষ। পরে আরও গবেষণা চালানো হবে, যাতে করে মানুষ আরও দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে। 


বিজ্ঞাপন


সূত্র : জি নিউজ

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর