সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ন্যাটোভুক্ত হতে পারবে কি ইউক্রেন, কী করবে পশ্চিমারা?

আবুল কাশেম
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২২, ০১:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ন্যাটোভুক্ত হতে পারবে কি ইউক্রেন, কী করবে পশ্চিমারা?
ইউক্রেনীয় চার অঞ্চলের প্রধানদের সঙ্গে উৎফুল্ল পুতিন

ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রায় সাত মাসের মধ্যে বড় ধরনের সাফল্য পেল রাশিয়া। শুক্রবার দেশটির বড় চারটি অঞ্চলকে নিজেদের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

রাশিয়ার এই ঘোষণার পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে দ্রত সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছে ইউক্রেন। শুক্রবার ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।


বিজ্ঞাপন


ইউক্রেনীয় চার অঞ্চলকে নিজেদের ঘোষণা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন যে, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া এখন থেকে রাশিয়ার।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি নিশ্চিত যে ফেডারেল অ্যাসেম্বলি রাশিয়ার চারটি নতুন অঞ্চলকে সমর্থন করবে... কারণ এটি লাখ লাখ মানুষের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।

পশ্চিমাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে পুতিন বলেন, ‘তারা আমাদের স্বাধীন সমাজ হিসেবে দেখতে চায় না। তারা আমাদেরকে একদল দাস হিসেবে দেখতে চায়।’

এদিকে ইউক্রেনের এমন অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনকে আরও সামরিক সাহায্য পাঠাবে। আগামী সপ্তাহে দেশটি নতুন সহযোগিতা ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান।


বিজ্ঞাপন


ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার এখনই সঠিক সময় নয় বলেও উল্লেখ করেন সুলিভান। তিনি বলেন, ন্যাটোর দরজা সবার জন্য খোলা। তবে এর ৩০ জন সদস্যের সবাইকে একমত হতে হবে।

ন্যাটোও রাশিয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। সম্প্রতি ন্যাটো প্রধান বলেন যে, সেখানে সদস্য হতে সবার মতৈক্য দরকার। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে ঐক্যমত্যের অভাব রয়েছে।

ন্যাটোর গঠনতন্ত্রের আর্টিকেল দশে বলা হয়েছে, কোনো দেশ যদি ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় তবে জোটের ৩০ সদস্য দেশের সবাইকে একমত হতে হবে।

ন্যাটোর ৩০ সদস্য দেশ হলো— আলবেনিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্টিনেগ্রো, নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ইউক্রেনকেই করতে হবে। সেই বিষয়টিও এখন আরও জটিল হয়ে পড়েছে। চার অঞ্চলকে নিজস্ব ভূমি ঘোষণা দেওয়ায় এখন এটি রক্ষায় সবকিছু করতে প্রস্তুত রাশিয়া। এখানে হামলা হলে নিজেদের ভূখন্ডে হামলা হিসেবে দেখবে দেশটি। এমনটি ঘটলে পারমাণবিক হামলা চালাতেও যে পিছপা হবে না সে বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছে মস্কো। 

এখন দেখার পশ্চিমারা কোন কৌশল অবলম্বন করে এবং জেলেনস্কি কতটুকু এগোতে পারেন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কারো স্বীকৃতি ছাড়াই ক্রিমিয়ার মতো এই চার অঞ্চলও পুরোপুরি কব্জায় রাখবে রাশিয়া। এটি পুনরুদ্ধার ইউক্রেন বা পশ্চিমাদের দ্বারা সম্ভব নয়।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর