শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বাড়ছে তুরস্ক-গ্রিস উত্তেজনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৫০ এএম

শেয়ার করুন:

বাড়ছে তুরস্ক-গ্রিস উত্তেজনা

বিভক্ত সাইপ্রাস ও এজিয়ান সাগর নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। তুরস্ক বলেছে যে, গ্রিক সাইপ্রিয়ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসাবে দ্বীপে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু শুক্রবার গ্রিসের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সমালোচনা করে বলেছেন যে, এটি সাইপ্রাস বিরোধে এথেন্সের খেলনা হয়ে উঠেছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, যারা গ্রিকদের খুশি করার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের তুরস্কের কাছ থেকে বন্ধুত্ব আশা করা উচিত নয়।

এই সপ্তাহের শুরুতে চাভুসোগলু ঘোষণা করেছিলেন যে, ওয়াশিংটন গ্রিক সিপ্রিয়ট প্রশাসনের উপর সামরিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরে তুরস্ক সাইপ্রাসে তার সামরিক উপস্থিতি বাড়াবে।

ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপটি ১৯৭৪ সাল থেকে গ্রিক এবং তুর্কি সিপ্রিয়ট সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভক্ত। গ্রিক সিপ্রিয়ট প্রশাসন একমাত্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার।

ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ এসেছে যখন এজিয়ান সাগরে গ্রিক দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এথেন্সকে সমর্থন দেন।


বিজ্ঞাপন


প্রাইস বলেছেন, 'এই দ্বীপগুলির উপর গ্রিসের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ নয়। তবে আমরা আমাদের মিত্রসহ দেশগুলোকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন কাজ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানাই।'

আঙ্কারা তুর্কি উপকূলের কাছাকাছি তার কিছু দ্বীপের গ্রিসের সামরিকীকরণের নিন্দা করেছে, যা তুরস্ক একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে। এথেন্স বলেছে যে, তারা শুধু তুরস্কের হুমকি থেকে তার অঞ্চল রক্ষা করছে।

ইউনিভার্সিটি অফ এথেন্সের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী চেঙ্গিজ আকতার বলেছেন যে, গ্রিক সরকার মনে করছে যে তাদের ওয়াশিংটনের সমর্থন রয়েছে এবং তারা তাদের বিবেচনায় তুরস্কের উৎপীড়ন থেকে পিছপা হওয়ার অবস্থায় নেই।

আকতার বলেছেন, 'গ্রিসে একটি প্রচলিত কথা আছে, ছোট দেশগুলোকে ছোট করবেন না। ইউক্রেন এবং রাশিয়া একটি জীবন্ত উদাহরণ। আমি বলতে চাচ্ছি, হ্যাঁ, গ্রিকরা প্রস্তুত।'

তুরষ্ক-গ্রিক উত্তেজনা নতুন কিছু নয়। দুই দেশ ১৯৯৬ সালে একটি জনবসতিহীন দ্বীপ নিয়ে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ প্রকাশ্য শত্রুতা প্রতিরোধ করে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর